লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: সম্প্রতি ফেনী, নোয়াখালীর বন্যার পানিতে লক্ষ্মীপুর প্লাবিত হয়েছে। নোয়াখালীর বন্যার পানি লক্ষ্মীপুরের কয়েকটি নদী ও খাল দিয়ে মেঘনা নদীতে নেমে যায়। দীর্ঘদিন থেকে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন খালে অবৈধভাবে রাস্তা ও বাঁধ দিয়ে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহল মাছ চাষ করতো। এতে বন্যা ও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হয়।
বিষয়টি নজরে আসলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জলাবদ্ধতায় খাল থেকে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে গত পাঁচ দিনব্যাপী বাঁধ অপসারণ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান স্থানীয় ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন থেকে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করে আসছে।এর মধ্যে উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন থেকে দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন হবে পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ড় পর্যন্ত খালের বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় পানি প্রবাহের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।
গত বৃহস্পতিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা পাঁচদিন দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন খাল থেকে শতাধিক বাঁধ অপসারণ করা হয়। এর আগে উত্তর হামছাদী, দক্ষিণ হামছাদী ওয়াপদা খাল, দালাল বাজার বাজার সংলগ্ন খাল,মান্দারী বাজার সংলগ্ন খাল, জকসিনবাজার সংলগ্ন খাল, জকসিন টু লাহারকান্দি সড়কের পাশে পল্লী বিদুৎ সমিতির উপকেন্দ্র সংলগ্ন খাল, খিলবাইছা থেকে ওয়াপদা সংযোগ খালে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা ও রাস্তা তৈরি করা বাঁধগুলো কেটে দেয়া হয়।
এছাড়া উত্তর হামছাদী, দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, লাহারকান্দি, মান্দারী ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় পানির প্রবাহ
সচল করতে দুই শতাধিক বাঁধ অপসারণ করা হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান জানান, সমাজের কিছু দুষ্টু লোক উপজেলার বিভিন্ন খালে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে রাস্তা তৈরি ও মাছ চাষ করছে। এতে বন্যা ও বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। বিষয়টি নজরে আসলে আমরা অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন খালের দুই শতাধিক বাঁধ অপসারণ করি। এতে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা