মিনহাজ আলী, শিবগঞ্জ (বগুড়া): তীব্র রোদ আর প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা বগুড়ার শিবগঞ্জের জনজীবন। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকেই। যাদের ‘দিন আনি দিন খাই’ অবস্থা, তাঁদের ঘর থেকে না বেরিয়ে উপায় নেই। জীবিকার তাগিদে এই তীব্র রোদের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষদের।
রোদে পুরে খেটে খাওয়া মানুষগুলো একটু শীতল হতে মাঝেমধ্যে আশ্রয় নিচ্ছেন গাছের ছায়াতলে। কেউবা পান করছেন ঠান্ডা জাতীয় শরবত। আবার অনেকে বাতাস করার জন্য কিনছেন হাতপাখা। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। সকাল ৮টার পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। দুপুর হলেই যেন সূর্যের প্রখর তাপে আগুনের ফুলকী বইতে শুরু করে। প্রকৃতির এমন আচরণে প্রাণ ওষ্ঠাগত।
উপজেলার পাকুড়তলা এলাকার ভ্যানচালক আনারুল ইসলাম বলেন, যে গরম পড়েছে তাতে রাস্তায় ভ্যান চালানোই যাচ্ছে না। গরমে মাথা পুড়ে যাচ্ছে। কিন্তু উপায় নাই। কষ্টের কথা ভাবলে তো পরিবারের চাহিদা মিটবে না। রহবল এলাকার ইজিবাইক চালক রুহুল আমিন বলেন, গরমে জামা কাপড় সব ভিজে যাচ্ছে। সকালে গরম একটু কম থাকলেও দুপুরের পর অসহ্য গরম লাগে। বাইরে বের হওয়া যায় না। আর এই গরমের মধ্যে যাত্রীও অনেক কম। বিশেষ কোনো দরকার ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না।
উপজেলার চাকলমা গ্রামের কৃষক লিটন মিয়া বলেন, বেশ কয়েকদিন হলো প্রচণ্ড তাপমাত্রায় মাঠে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে এরকম আবহাওয়া শারীরিক কষ্টের হলেও কৃষকদের জন্য ধান কাটামারার জন্য খুবই উপযোগী। এমন আবহাওয়া কিছুদিন থাকলে ধান কাটামারা অল্প দিনের মধ্যেই উঠে যাবে। এদিকে গরমের কারণে বেড়েছে তরমুজ ও ডাবের চাহিদা। বেড়েছে দামও। একশ টাকার নিচে ডাব মিলছে না।
আবহাওয়াবিদ ডক্টর বজলুর রশিদ জানান, দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চলমান তাপপ্রবাহ রবিবার (১১ মে) পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী সোমবার (১২ মে) বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এক্ষেত্রে তীব্র রোদে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন এই আবহাওয়াবিদ।এছাড়া প্রচণ্ড গরমের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়াসহ তাপজনিত রোগ। বিশেষ করে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুরা।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা