মিনহাজ আলী, শিবগঞ্জ (বগুড়া): বগুড়ার শিবগঞ্জে সরকারের অনুমোদন ছাড়া ঋণ বিতরণের অভিযোগ উঠেছে "আলোছায়া" নামে একটি সংস্থার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, গ্রাহকের থেকে ফাঁকা স্ট্যাম্পে সাক্ষর নিয়ে জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা দাবিরও অভিযোগ সংস্থাটির বিরুদ্ধে।
এসব বিষয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মতিয়ার রহমান নামের এক ব্যক্তি।
অভিযোগকারী মতিয়ার রহমান উপজেলার ধাওয়াগীর কিষ্টপুর গ্রমের মৃত বছির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দাড়িদহ গ্রামের তছকিন উদ্দিনের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম "আলোছায়া" সংস্থার মাধ্যমে দাদন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। সংস্থাটি সমাজ সেবা অধিদপ্তরের অনুমোদিত হলেও ঋণ কার্যক্রমের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটি (এমআরআই) এর অনুমোদন নাই। এমআরআই এর অনুমোদন ছাড়াই তিনি ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রে শুধু পাশবহি এবং বড় ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে জমির দলিল, ব্যাংকের স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক ও স্বাক্ষরিত ফাঁকা স্ট্যাম্প সিকিউরিটি হিসেবে জামানত নিয়ে ঋণ বিতরণ করেন। ঋণ পরিশোধ করার পর চেক ও স্ট্যাম্প ফেরত দিবেন বলে কথা দেন গ্রাহকদের। কিন্তু ঋণ পরিশোধ করার পরেও চেক ও স্ট্যাম্প ফেরত না দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। তার এই ধরনের কার্যকলাপে এলাকার মানুষ পথে বসেছেন। জুলুমের শিকার হচ্ছেন অনেক মানুষ। এছাড়াও জোরপূর্বক পুকুর দখল, বিভিন্ন ব্যক্তিকে প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আত্নসাতের চেষ্টা করেন আনোয়ার।
অভিযোগকারী মতিয়ার রহমান বলেন, আমি বিপদে পড়ে তার কাছ থেকে টাকা নেই। নেয়ার সময় আমার কাছ থেকে চেক নিয়ে নেয় আনোয়ার। পরে ঐ টাকা পরিশোধ করার পরেও সে আমার কাছে অতিরিক্ত টাকা দাবি করে চেক বই আটকে রাখে। আমার নামে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
অভিযুক্ত আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আমার সংস্থা ঋণ বিতরনের অনুমতি পায়নি। সে কারণে বর্তমানে ঋণ বিতরণ বন্ধ রেখেছি। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা