যায়যায় কাল প্রতিবেদক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহতের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবার নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলা হয়েছে।
শনিবার রাতে ৫ আগস্ট শহরের চাষাঢ়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া আবুল হাসান স্বজনের বড়ভাই আবুল বাশার অনিক বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আব্দুস সাত্তার জানান৷
মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, তার বড়ভাই নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, শ্যালক বিসিবি পরিচালক তানভীর আহমেদ টিটু, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর ছোটভাই মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বলসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১০০-১৫০ জনকে৷
ওসি বলেন, এ মামলায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হননি।
মামলার বরাতে পুলিশ জানায়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টা আগে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়৷ এ সময় আওয়ামী লীগের লোকজন গুলি করে।
সংঘর্ষে বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা গ্রামের আবুল হাসান স্বজন গুলিবিদ্ধ হন৷ পরদিন ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
প্রবল গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অষ্টম মামলা এটি।
শনিবার ভোররাতে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে গুলিতে নিহত কলেজ ছাত্র তানভির ছিদ্দিকীর চাচা মোহাম্মদ পারভেজ চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এর আগে চার দিনে ঢাকায় তার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা হয়, যার মধ্যে চারটি হত্যা মামলা, অন্যটি দায়ের হয়েছে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগে।
এর বাইরে বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষক সেলিম হোসেনের নিহতের ঘটনায় শুক্রবার হত্যা মামলা করা হয়েছে সদর থানায়।
এ ছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত হত্যা, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।