এ এম আব্দুল ওয়াদুদ, শেরপুর: শেরপুরে আড়াই মাসের এক শিশু চুরি করে বিক্রি হওয়ার তিন দিন পর বুধবার ভোররাতে টাঙ্গাইল জেলা সদর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশু চুরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত চক্রের চার সদস্যের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । তবে অপর তিনজন এখনো পলাতক রয়েছে।
শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর গ্রামের ইজ্জত আলীর স্ত্রী জরিনা (৪৮) চুরি এবং বিক্রির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়। তার মেয়ে সাবিনা (২৮), সদর উপজেলার কামারেরচর গ্রামের সুলতান মিয়া (৪৫) এবং টাঙ্গাইল সদরের এমদাদুল হকের স্ত্রী সানোয়ারা খানম (৩০) এখনও পলাতক।
নকলা উপজেলার কুলাদি গ্রামের তানিয়া আক্তার ও লতিফুর রহমান দম্পতির আড়াই মাসের কন্যাশিশু লাবিবাকে ১৫ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসার জন্য শেরপুর শহরের বটতলা এলাকার নিরাপদ ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পূর্বপরিচিত শিশু চোর চক্রের সদস্য জরিনা শিশুটির মাকে ধোঁকা দিয়ে তার মেয়ে সাবিনার সহায়তায় শিশুটিকে চুরি করে। এরপর তারা শিশুটিকে টাঙ্গাইল জেলা সদরের এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।
শিশুটি চুরি হওয়ার পরপরই পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হলে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জুবায়দুল আলম মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ টাঙ্গাইল জেলা সদরের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আটককৃত আসামির স্বীকারোক্তিতে শিশু লাবিবাকে উদ্ধার করে।
শেরপুর সদর থানার ওসি মোহাম্মদ জুবায়দুল আলম জানান, এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শিশু চুরির এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে অভিভাবকদের আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা