মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিদ্যুতের তারে শক খেয়ে একটি লজ্জাবতী বানরের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলার পশ্চিম ভাড়াউড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় যুবক জাকারিয়া প্রথমে বানরটিকে বিদ্যুতের তারে ঝুলতে দেখে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে খবর দেন। পরে ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল ও পরিবেশকর্মী রাজদীপ দেব দীপ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিদ্যুৎ বিভাগকে অবহিত করেন। এরপর প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় বানরটিকে উদ্ধার করা হয়। তবে এসময় প্রাণীটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি শ্রীমঙ্গল পল্লী বিদ্যুৎ অফিস এবং উপজেলা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তাকে ফোন করেন। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে বানরটিকে উদ্ধারের অনুরোধ জানানো হলেও কেউ সহযোগিতা করেননি। বিদ্যুৎ অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা মিটিং চলছে বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। প্রায় চল্লিশ মিনিট তারে ঝুলে থেকে বানরটি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় শুকনো বাঁশ ব্যবহার করে বানরটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে উপজেলা পশু হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বানরটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. কাজী নাজমুল হক জানান, মৃত লজ্জাবতী বানরটিকে ময়নাতদন্তের জন্য জানকিছড়া রেসকিউ সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে প্রাণীটিকে মাটিচাপা দেওয়া হবে।
লজ্জাবতী বানর বাংলাদেশের একটি বিরল ও বিপন্ন প্রজাতি। খাদ্যের অভাব ও আবাসস্থল সংকটের কারণে প্রাণীটি বারবার লোকালয়ে প্রবেশ করছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
স্বপন দেব বলেন, 'খাদ্যের অভাব, বন ধ্বংস ও আবাসস্থল সংকটের কারণে প্রাণীগুলো লোকালয়ে চলে আসছে, যা বন্যপ্রাণীদের জন্য হুমকিস্বরূপ।'
লজ্জাবতী বানর দেশের অতিবিপন্ন প্রাণীর তালিকায় আছে জানিয়ে স্বপন দেব আরও বলেন, 'লজ্জাবতী বানর নিশাচর ও ধীরগতির প্রাণী। এরা প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।'
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা