সলঙ্গা প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় সংবাদ প্রচারের জেরে ধরে সাংবাদিক কাইয়ুম মাহমুদের একটি এডিট করা ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি অশালীন পোস্ট ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সাংবাদিক কাইয়ুম মাহমুদ গত সোমবার সলঙ্গা থানায় ও র্যাব-১২ তে গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি দৈনিক আজকের সিরাজগঞ্জ ও দৈনিক যায়যায়কাল পত্রিকার নিজস্ব সংবাদদাতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৷
বিক্ষুব্ধ জনতা গত ৯ মার্চ গভীর রাতে তাড়াশ থানার খালখুলা বাজার এলাকা থেকে মোবাইল মেকার মানিককে একজন যৌনকর্মীসহ আটক করে। পরে গণধোলাই দিয়ে তাড়াশ থানায় হস্তান্তর করে।
স্থানীয়রা জানান, মোবাইল মেকার মানিক ও তার ভাই মেকার মিজান (প্রিন্স মিজান) দীর্ঘদিন যাবত র্যাব ও পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে জমজমাট মাদক ও নারী দিয়ে ব্যবসা করে আসছেন৷ যা এলাকার পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে। এতে এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে ওইদিন মানিককে এক যৌনকর্মীসহ আটক করে তাড়াশ থানায় হস্থান্তর করেন৷ পরে থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়৷
এ ঘটনায় বেশ কিছু গণমাধ্যমে সংবাদ হিসেবে প্রচারিত হলে মোবাইল মেকার মানিকের ভাই মিজান (প্রিন্স মিজান) ক্ষিপ্ত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ফটোশপ করা ছবি পোস্ট করেন। যাতে অশালীন ও আক্রমণাত্মক ক্যাপশন যুক্ত করা হয়। সেখানে লেখা ছিল, “চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাই দিয়ে খুটির সঙ্গে বেঁধে রেখেছিল, এই সেই নামধারী, ঝুটি ওয়ালা কাইয়ুম সাংঘাতিক।”
মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে সাংবাদিক কাইয়ুম মাহমুদ কে সমাজে হেয় করা, সম্মানহানি এবং তাকে অপমান করার উদ্দেশ্যে এমন অপপ্রচার করা হয়। এই অপপ্রচারের জন্য সাংবাদিক কাইয়ুম মাহমুদ সলঙ্গা থানায় মাদক কারবারি মোবাইল মেকার মানিক ও মিজানের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷
এ ঘটনায় সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মনোজ কুমার বলেছেন, “অভিযোগের বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেছি এবং তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনায় সলঙ্গা এলাকার জনগণ ও সাংবাদিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল ও সৎ সাংবাদিকতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং মিডিয়া কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।
সাংবাদিক কাইয়ুম মাহমুদ জানিয়েছেন, প্রশাসন এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আমাকে ন্যায়বিচার দিবে বলে আমি আশাবাদী।
গণমাধ্যম কর্মীরা বলছেন, এই ধরনের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে আর কোনো সাংবাদিক যেন হেনস্থার শিকার না হয়। তাই এই মিথ্যা তথ্য ও এই অপপ্রচারকারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় এমনটা দাবি সকল গণমাধ্যম কর্মীদের।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা