এস এম আক্কাস, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানার জি.আর নম্বর- -২৮/২০২৪ (তাড়াশ) মামলায় এজাহারে থাকা ৮ নং আসামি প্রবাসে ( দুবাই ) থাকায় অন্যজনকে মামলার এজাহার নামীয় আসামি দেখিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর জামিন করালেন আইনজীবীর সহকারী রুহুল আমিন। আইনজীবী তার লিখিত ও মৌখিকভাবে আদালতে তার সহকারী রুহুল আমিন মামলার আসামিদের সাথে পূর্ব সম্পর্ক থাকায় এমন করেছে বলে দাবি করেন।
মামলার কার্যধারার উদ্দেশ্যে মিথ্যা ছদ্মবেশ ও অপরের রুপ ধারণ করে প্রতারণা করে ক্ষতিসাধন কল্পে সরকারী কর্মচারীকে আইন প্রয়োগে বাধ্য করার জন্য মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করিয়া মূল্যবান জামানত জাল জালিয়াতি করিয়া জাল জিনিসকে খাটি হিসাবে ব্যবহার করা ও সহায়তার অপরাধে আইনজীবী সহকারি রুহুল আমিনসহ মোট ৮ জনের নামে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক মোহাম্মদ বিল্লাল হোসাইন। মামলা নম্বর জি আর ২৫১/২০২৪ (সিরাজ) এ নিয়ে আদালত পারায় চলছে নানা গুঞ্জন। এই মামলায় রুহুল আমিন ২০ দিন কারাগারে ছিলেন।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ১৫ (১) বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে ৮ জনকে আসামি করে তাড়াশ থানায় মামলা দায়ের করেন। জিআর নম্বর- -২৮/২০২৪ (তাড়াশ)। উক্ত মামলার এজাহারের ৮ নং আসামি করা হয় শাহাদাৎ হোসেনকে।
পরবর্তীতে গত ফেব্রুয়ারি ৪ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মোহাম্মদ আযিযুর রহমানের সম্মুখে হাজির হয়ে আসামি ৮নং শাহাদৎ হোসেনের স্থলে অন্য ব্যক্তি দেখিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেয়।
পরে আসামিদের নামে রিকল হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এজাহারে উল্লেখ ৮ নং আসামি শাহাদৎ হোসেন প্রবাস (দুবাই) চাকরিরত অবস্থায় রয়েছে মর্মে বিজ্ঞ আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেই সাথে আদালতের দৃষ্টিতে আনার জন্য এ সংক্রান্ত স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্রসহ তদন্তকারী কর্মকর্তা একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তার দাখিল উক্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন বাতিল করতঃ আসামিদের পক্ষে নিয়োজিত আইনজীবী ইলোরা কাবেরী ইলা এর প্রতি এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে আইনজীবী কারণ দর্শানোর জবাবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করতে উল্লেখ করেন তার সহকারি রুহুল আমিন এজাহার নামীয় আসামিদের পূর্ব পরিচিত থাকায় তার মাধ্যমে উক্ত মামলার এজাহারনামীয় ৮ জন আসামি আইনজীবীর কাছে আসে এবং তিনি মামলাটি গ্রহণ করেন। এরপর আসামিদের জামিনের দরখাস্ত প্রস্তুত করে সাথে ওকালতনামা সংযুক্ত করে জামিনের দরখাস্ত এবং ওকালতনামায় এজাহারনামীয় আসামিদের স্বাক্ষরের জন্য তার সহকারী রুহুল আমিন নিকট হস্তান্তর করেন।
পরবর্তীতে আসামিদের নিকট থেকে স্বাক্ষর গ্রহণ করে তাতে আইনজীবীর স্বাক্ষর দেওয়ার পর তার সহকারী রুহুল আমিন জামিনের দরখাস্তটি আদালতে দাখিল করেন। সে মোতাবেক আইনজীবী স্বেচ্ছায় হাজির আসামিদের জামিন এর দরখাস্তটি শুনানি আদালত থেকে আসামিদের অন্তর্ভুক্তকালীন জামিন আদেশ প্রাপ্ত হন। এরপর একইভাবে তার সহকারীর মাধ্যমে জামিন নামায় আসামিদের স্বাক্ষর গ্রহণ করেন তিনি নিজে তাদের স্বাক্ষর করে আসামিদের জামিননামা আদালতে দাখিল করেন।
এ ক্ষেত্রে এজাহাননামীয় আসামি শাহাদত হোসেন বিদেশ (দুবাই) চাকরিরত আছে এ বিষয়টা জানা থাকলে থাকে কখনো তার পক্ষে বিজ্ঞ আইনজীবী ওকালতনামা ও জামিননামাসহ অন্যান্য কাগজাদিতে স্বাক্ষর করতেন না মর্মে কারণ দর্শানোর জবাবে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে আইনজীবী সহকারী রুহুল আমিনের থেকে এমন জালিয়াতির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এসবের কিছু জানতাম না আর সবাইকে তো আমার চেনা সম্ভব না জানলে এমনটা করতাম না।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা