মো. দিল, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ সদরে নদীর প্রবল স্রোতে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। রবিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোর রাত সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের পাঁচঠাকুরী এলাকার শাহজাহান মোড়ে এ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
ইতোমধ্যে ১০০-১৫০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এদিকে ভাঙ্গন আতংকে আশপাশের লোকজন তাদের বাড়িঘর দোকান পাট অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।
ঘটনাস্থলে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রনজিত কর্মকার বলেন, সিমলা স্পারের পাশে ওই স্থানটি গত বছর ভেঙ্গে গিয়েছিল। সেখানে অস্থায়ীভাবে মেরামত করা হয়েছিল। স্থায়ী মেরামতের জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হলেও কাজ শুরু হয়নি।
এ অবস্থায় আজকে রবিবার ভোর রাত থেকে নদীর উল্টা স্রোত পূর্বের ভাঙ্গনের স্থানে আঘাত হানায় সেখানে আবারও ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।এ অবস্থায় ভাঙ্গন স্থানের আশপাশের ২০-২৫টি বাড়িঘর ও ১০-১৫ টি দোকান অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে পাশের নদীতীর রক্ষা বাধের ওপরে নির্মিত রানীগ্রাম-রতনকান্দি আঞ্চলিক সড়ক।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম দুপুর ১টার দিকে বলেন, ইতোমধ্যে পূর্বের ভাঙ্গনের স্থানের অন্তত ১০০ থেকে ১৫০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙ্গনরোধে জিওব্যাগ ফেলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি দুই-একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলনের কারণে এ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। তারা আরো বলেন, আমরা এ বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য মানববন্ধন করেছি। বিভিন্ন সেক্টরের অভিযোগ করেছি। কিন্তু বালু উত্তোলন বন্ধ না হওয়ায় এ ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে ছোনগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ভাঙ্গন এলাকায় খোঁজ খবর নিয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলেছি। তারা আস্তস্থ করেছে অতিদ্রুত চেষ্টা করে বন্ধ করার ব্যাবস্থা হবে।
ছোনগাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ভাঙ্গন এলাকায় এসেছি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে ও সাংসদ প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়ের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আশা করছি দুই এক দিনের মধ্যে বন্ধ হবে।