
প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ১৪, ২০২৫, ১০:৫৫ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫, ৮:৫৮ অপরাহ্ণ
সীতাকুণ্ডে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়ানোর জন্য জামায়াতের দুই গ্রুপের হাতাহাতি!

মো. রমিজ আলী, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বাঁশবাড়িয়া আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন জামায়াতের এক গ্রুপ। তাকে ছাড়িয়ে আনার জন্য থানায় হাজির জামায়াতে ইসলামীর অন্য গ্রুপের নেতাকর্মী। এ সময় জামায়াতের আরেক নেতা ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভ করেছেন। পুরো বিষয়টি এলাকায় আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
আটক হওয়া আওয়ামী লীগের নেতার নাম মো. সেলিম। তিনি উপজেলা বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য! ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা। সীতাকুণ্ড পৌরসভার বাইপাস সড়কের পাশে কাতার টাওয়ার নামে একটি বহুতল ভবনের ৮ম তালার ছাদ ঢালাই কাজ চলছিল।
রোববার দুপুরে ছাদ ঢালাইয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত ভোজে আত্মীয়তার সুবাদে অংশ নেন সেলিম। এরপর জামায়াতের কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মী তাকে আটক করে থানায় খবর দেন। পুলিশ আসতে দেখতে সেলিম সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পড়ে গিয়ে আহতও হন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি সেলিমের।
জামায়াতের একাংশ দাবি করেন আওয়ামী লীগ নেতা সেলিমকে ছাড়িয়ে আনতে জামায়াত নেতা প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী থানায় হাজির হন। তখন অনেকে বিষয়টি ফেসবুকে লাইভ করেন। রুবেল আনছারী নামের এক জামায়াত নেতা তার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ করেন। এরপর জামায়াত ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা থানা থেকে বের হয়ে যান।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর স্পেশাল ইউনিটের রুকনের দায়িত্বে থাকা প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সীতাকুণ্ড পৌর সদরের পশ্চিম পাশে কাতার টাওয়ারে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। কাতার টাওয়ারে চলমান কাজের ইট, বালু, সিমেন্টসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম সরবরাহ করতে চেয়েছিলেন স্থানীয় রুবেল আনসারী। তাকে এই সরঞ্জাম সরবরাহ করতে না দেওয়ায় তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাছাড়া আটক সেলিমের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা