
প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ১৫, ২০২৫, ৭:৫৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ১০, ২০২৫, ৯:১৭ অপরাহ্ণ
সীতাকুণ্ডে পানি নিস্কাসনের পথ বন্ধ হওয়াতে বাড়বকুণ্ড বিদ্যুৎ ষ্টেশনসহ ২৫ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানিতে ডুবি

মো. রমিজ আলী, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড একটি বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান পানি নিষ্কাশন পথ ভরাট করে নিজেদের কারখানার দেয়ালের ভিতর নিয়ে যাওয়ায় কারনে বাড়বকুণ্ড বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের ভিতরে পানি ঢুকে তলিয়ে যায়,তাছাড়া পাশ্ববর্তী এরিয়া কোডেক অফিস, ১০/১২ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কয়েকটি বাড়ী একটু ভারী বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায়।বিদ্যুৎ অফিসের বিদ্যুৎ সরবরাহ প্যানেলের ওয়ের রাস্তা পানিতে ডুবে যায়।যেকোন সময় বিস্ফোরণে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
বাড়বকুণ্ড বিদ্যুৎ অফিসে পানি উঠেছে শুনে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বাড়বকুণ্ড সাবেক আনোয়ারা জুট মিলস ও আশেপাশের জমি বর্তমানে কেএসআরএম ক্রয় করার পর
তারা মাটি ভরাট করে স্ক্যাপ ও লোহার ডিপু নির্মান করে,মাটি ভরাটকালে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঘেষে পানি নিস্কাশন পথে কোন প্রকার পাইপ বা নাশি ব্যবহার না করায় দক্ষিনপাশে উজানের পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে যায়।ভরাটকালে এলাকাবাসী, বাড়বকুন্ড ৩৩ হাজার বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের দায়িত্বশীলগন পানি নিস্কাশনের পথ রাখতে বলা হলেও এই কোম্পানিটি কোন কর্ণপাত না করে মহাসড়কের পাশের সড়ক ও জনপথের জায়গা সহ ভরাট করে ফেলে।
অনেক বার অভিযোগ আবেদন করেও কোন সুরাহা পাওয়া যায়নি। এখন বাড়বকুণ্ড বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রাইজিং বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, কোডেক এরিয়া অফিস, আশেপাশের দোকান পাট একটু বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায়,হাটুপানি, কোমর পানিতে পরিনত হয়।দোকানগুলো বেচাকেনা বন্ধ হয়ে যায়।
বাড়বকুণ্ড ৩৩ হাজার বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের সিনিয়র প্রকৌশলী মোঃ ইছাক আমাদের সময় কে জানায়,একটু বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পানি জমে যায়, বিদ্যুৎ সরবরাহ ওয়ের পথে পানি ঢোকে পড়ে, এতে প্যানেল গুলো বিস্ফোরণের আশংকা থাকে বলে আমরা পাওয়ার পাম্প মেশিন দিয়ে পানি সেচের মাধ্যমে বিপদ মুক্ত রাখি।অফিসে প্রবেশ পথে হাটু পানি ভেঙ্গে ঢোকতে হয়। সব মিলে বিদ্যুৎ অফিসে পানি প্রবেশ করা মুটেও নিরাপদ নয়।যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।কেএসআরএম কে ও আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ করি,কিন্তু আমাদের সমস্যা উনারা বুঝতে চায়না,সমস্যা নিরসন করেনা।মহাসড়ক ঘেষে সড়ক ও জনপথের জায়গাতেই একটি বড় সাইজের পাইপ মাটির নিচে বসিয়ে ঢালা আম্বিয়া ছড়াতে সংযোগ করে দিলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। এতে তাদের জায়গার ও কোন কমতি হবেনা পাইপ মাটির নিচে থাকবে।এই সমস্যাটা কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ বুঝা উচিত।
আমরা পানি নিস্কাশনের পথ চেয়ে পূর্বের ইউএনও এবং বর্তমান ইউএনও কে জানিয়েছি,লিখিতভাবেও পানি নিস্কাশনের ব্যবস্হার কথা জানাবো। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্হা না করলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যেকোন সময় বড়দরনের দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা