হাসান আহমেদ প্রান্ত, নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় কোরবানির পশুর হাটের শিডিউল নিয়ে ঘটেছে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা।
বুধবার সকাল থেকে হাটের শিডিউল সংগ্রহ করতে উপজেলা চত্বরে ভিড় করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মী, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকরা।
ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোতায়েন রয়েছে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও পুলিশের একটি দল। তবে আগের বছরের তুলনায় এবছর ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোহেল নামের এক ব্যক্তি। যিনি নিজেকে বিএনপির কর্মী দাবি করেন, তিনি শিডিউল নিতে আসা প্রত্যেকের কাগজপত্র নিজের দায়িত্বে যাচাই করছেন।
তবে অভিযোগ রয়েছে, এ ব্যক্তি অতীতে ছাত্রলীগ ও শামীম ওসমানপন্থী কর্মী হিসেবেও সক্রিয় ছিলেন। যাদের শিডিউল দেখাতে অনীহা, তাদের সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলা থেকে শুরু করে হুমকি ও শারীরিক আক্রমণের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
গোগনগর ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. মনির হোসেন অভিযোগ করেন, “আমি হাটের শিডিউলের জন্য এসেছিলাম। হঠাৎ সোহেল বাহিনীর কয়েকজন পুলিশের গাড়ির সামনে আমাকে ঘিরে ধরে। কিছু বোঝার আগেই তারা আমাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। পরে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) পাঠায়।”
এ বিষয়ে তদন্তে জানা গেছে, গত ২৬ মে মো. সোহেল একটি মারামারির মামলায় ফতুল্লা থানা পুলিশ কর্তৃক আদালতে প্রেরিত হন। প্রতি বছর কোরবানির মৌসুমে গোগনগর হাটের শিডিউল ঘিরে এমন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন এই সোহেল ও তার অনুসারীরা বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।
স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা