কৌশিক চৌধুরী, হিলি: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও হঠাৎ করে বন্দরে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দামে। এদিকে দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকাররা।
হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি ব্যবসায়ী শাহবুল হোসেন বলেন, বন্দরে কোন অযুহাত ছাড়াই আমদানিকারকরা হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বন্দরে পাইকারিতে পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০টাকায় কিনেছি আজকে সেই পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় কিনতে হলো। হঠাৎ করে দাম বাড়ার কারণে পেঁয়াজ কিনতে ও বিক্রি করতে সমস্যা পরতে হচ্ছে।
পেঁয়াজ কিনতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, হঠাৎ করে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি। গত বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ কিনলাম ৮৫ টাকায় আজ কিনতে হচ্ছে ১০০ টাকায়। দাম বাড়ায় পেঁয়াজ কিনতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন এতো দামে পেয়াজ কিনে কত করে বেচব।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা শাকিল হোসেন বলছেন, কয়েক দিন আগে খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হছে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকা কেজি দরে । হঠাৎ করে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজের উপরে এর চাপ পরেছে। দুইদিনের তুলনায় ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ কেজি দরে, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ কেজি দরে।
তিনি আরো বলেন, দুই মাসের মধ্যে কৃষকরা মাঠ থেকে পেঁয়াজ উঠাতে শুরু করলে বাজারে আবারো দেশি পেঁয়াজের দাম কমে আসবে। সাথে ভারতীয় থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের কমে আসবে
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক নুর আলম বাবু বলেন, ‘দেশের বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। এর সঙ্গে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের চাহিদাও দামের ওপর প্রভাব পরছে। দিপাবলী উপলক্ষে ভারতের পাইকারি আড়তগুলোতে ৮ দিন পেঁয়াজ কেনাকাটা বন্ধ থাকবে। ফলে পেঁয়াজের আমদানি ও সরবরাহ কিছুটা কমে যাবে। এ কারণেও দাম বেড়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা