যায়যায়কাল ডেস্ক : ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার বলেছে, দেশটির গোয়েন্দাপ্রধান গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় যোগ দেবেন।
অন্যদিকে যুদ্ধবিরতির চুক্তি হলে লড়াই বন্ধের অঙ্গীকার করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস।
দীর্ঘদিনের স্থবিরতা কাটিয়ে গাজা যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টায় গতি আসার একটা ইঙ্গিত ইসরায়েল ও হামাসের সবশেষ এ অবস্থানে পাওয়া যাচ্ছে।
এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজা যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধ বন্ধে আগের অনেকগুলো চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এখন ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষ গাজা যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে আলোচনায় আগ্রহের ইঙ্গিত দিল।
গত সপ্তাহে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হাতে নিহত হন হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা আশা করছে, সিনওয়ার হত্যাকাণ্ড একটি চুক্তির পথ খুলে দেওয়ার ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করতে পারে।
হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সংগঠনটির দোহাভিত্তিক একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার কায়রোতে মিসরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে গাজা যুদ্ধবিরতি-সম্পর্কিত ‘ধারণা ও প্রস্তাব’ নিয়ে আলোচনা করেছে।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, যুদ্ধ বন্ধের জন্য হামাস প্রস্তুত। তবে ইসরায়েলকে অবশ্যই যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। গাজা উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ফেরার সুযোগ দিতে হবে। বন্দিবিনিময় চুক্তিতে রাজি হতে হবে। গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে।
হামাসের এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধবিরতির আলোচনা আবার শুরুর জন্য মিসরের চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই কায়রোয় সবশেষ বৈঠকটি হয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় থাকা জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে মিসরের প্রচেষ্টাকে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন।
কায়রো বৈঠকের পর নেতানিয়াহু ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধানকে আগামী রোববার অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তার এমন নির্দেশনার উদ্দেশ্য, আলোচ্যসূচিতে থাকা একাধিক উদ্যোগকে সামনে এগিয়ে নেওয়া।
এর আগে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার বলেছিল, কাতারের রাজধানী দোহায় গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা আবার শুরু হবে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। সেদিন ইসরায়েলে প্রাণঘাতী হামলায় চালিয়েছিল হামাস। হামাসের এ হামলায় ১ হাজার ২০৬ জন নিহত হন। জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় প্রায় ২৫০ জনকে। জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৪২ হাজার ৮৪৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক :মোঃ আলামিনুল হক,নিবার্হী সম্পাদক :আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল
যোগাযোগ :ফোনঃ +৮৮০২৫৭১৬০৭০০,মোবাইলঃ ০১৭১২৯৪১১১৬,Emails:jaijaikalcv@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : ১২০/এ, আর. এস. ভবন, ৩য় তলা, মতিঝিল, ঢাকা