মো. আজহার উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফয়সাল শিকদার। ৩০ বছরের টগবগে যুবক। বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। অন্য সবার মতো তারও ছিল ভবিষ্যৎ নিয়ে নানান পরিকল্পনা। ইচ্ছে ছিল আদালতে বড় উকিল হবেন। তাই এলএলবি পাশ করে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে কর্মরত ছিল। স্বপ্ন ছিল দুই যমজ সন্তান, পিতা, মাতা ও স্ত্রীকে নিয়ে সুখে থাকবেন। কিন্তু জটিল এক রোগে তার সকল স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। শরীরের দুই কিডনি নষ্ট হয়ে সে আজ মৃত্যুর পথযাত্রী। চিকিৎসকেরা বলছেন যদি কোন কিডনি দাতা পাওয়া যায়, তাহলে হয়তো বেঁচে যেতে পারে। তার পরিবারের সদস্যরা খোঁজছে কিডনি দাতা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার হীরাপুর শিকদার বাড়ি ছেলে ফয়সাল শিকদার। তার পিতা হুমায়ুন কবির শিকদার আদালতের আইনজীবী সহকারী। চার বোনের মধ্যে মেঝ একমাত্র ভাই ফয়সাল।
২০১৬ সালে এলএলবি পাশ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন ফয়সাল শিকদার। ২০১৮ সালে বিয়ে করেন। তার বিয়ের দুই বছর পর যমজ সন্তান জন্মগ্রহণ করে।
২০২০ সালের শেষ দিকে ফয়সাল অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ফয়সালের দুই কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। সে বর্তমানে রাজধানীর আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সেখানে তার চলছে কিডনি ডায়লসিস। চিকিৎসকরা বলছেন, যদি কোন কিডনি ডোনার পাওয়া যায় তাহলে, হয়তো সে সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। তার ‘ও’ পজিটিভ কিডনি প্রয়োজন।
আর পরিবারের সদস্য জানিয়েছে, ফয়সালকে কিডনী দেওয়ার মতো কাউকে এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। প্রয়োজনে কিডনি ডোনারকে উপযুক্ত সম্মানী দেওয়া হবে।
আগ্রহী কিডনি দাতারা যোগাযোগ করতে পারেন নিম্নলিখিত নম্বরে: ০১৬৮২৩৩১১৬১