খন্দকার শাহ নেওয়াজ, রায়পুরা: নরসিংদীর রায়পুরায় সানিয়া আক্তার নামে এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। যৌতুকের চাপ সহ্য করতে না পেরে তার শোয়ার ঘরে ফ্যানে দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে তার স্বজনদের অভিযোগ।
সানিয়া আক্তার ভৈরব রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেছেন এইচএসসির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৮ফেব্রয়ারী) সন্ধ্যায় উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের নামা পাড়া গ্রামের হাজারী বাড়ীতে।
সানিয়ার ভাবী শুভা জানান, সানিয়ার সাথে পার্শবর্তী নীলকুঠী মিস্ত্রি বাড়ীর মোহাম্মদ সানাউল হক অভির ছেলে সাজিদের দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। এরই জেরে গত বছর ২৯ আগস্ট সানিয়ার সাথে সাজিদের কোর্টে বিয়ে সম্পূর্ন হয়। প্রায় ৩ মাস বিয়ের বিষয়টি গোপন ছিলো।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ছেলের মামা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মাজাহারুল হক রিপন এসে মেয়ের স্বজনদের ঘরে তুলার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ছেলে মেয়ে লেখা পড়ার করার জন্য বলেন। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে কোন খোঁজ খবর না থাকায় মেয়ে হতাশায় পরে যান। এদিকে প্রায় দিনই ছেলের মা মোবাইলে মেয়েকে কুৎসিত ভাষায় গালিগালাজ করতো।
মেয়ের ফুফাত ভাই আলমগীর হোসেন জানান, বিয়ের বিষয়টি সামাজিক ভাবে জানাজানি হলে মেয়ে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরে।
এদিকে ছেলের পক্ষ থেকে মেয়েকে যৌতুকের ও চাপ দেয়। যার ফলে সানিয়া আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
ছেলে বাবা মো: সানাউল হক অভি সানিয়ার সাথে তার ছেলে বিয়ের বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যৌতুক বা মোবাইলে কুৎসিত ভাষায় গালিগালাজের বিষয়টি আমার জানা নেই তবে মেয়েকে দেখে আমি এক হাজার টাকা দিয়ে আসি সালামি হিসেবে। পরে মেয়ের স্বজনদের বলেছি সাজিদের এখনো বিয়ের বয়স হয়নি, বিয়ের বয়স পুরো হলে মেয়েকে ঘরে তুলে নিবেন।
খবর পেয়ে রায়পুরা থানার এস আই আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন- লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ নরসিংদীর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আজ বুধবার সন্ধায় ময়না তদন্ত শেষে সানিয়ার লাশ দাফন করা হয়।
এই বিষয়ে মেয়ের মা বিলকিছ বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।