রবিবার, ১০ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,২৩শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করবে মন্ত্রণালয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করবে মন্ত্রণালয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে গত ৫ এপ্রিল পাঠানো এক পত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের জেলা পরিষদ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ শামসুল হক স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তপূর্বক মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হইল।  পত্রে আরও জানানো হয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের উন্নয়ন শাখার যুগ্ম সচিব মো. কামাল হোসেন তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে তদন্ত করবেন।

 

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করার ব্যাপারে তাঁকে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। তবে কবে এই তদন্ত করা হবে, সে বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি।

গত ৯ই ফেব্রুয়ারি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের বিরুদ্ধে  স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন পরিষদের ৮ সদস্য। তাঁরা হলেন—আখাউড়ার সাইফুল ইসলাম, সরাইলের পায়েল হোসেন মৃধা, নাসিরনগরের সামসুল কিবরিয়া, আশুগঞ্জের বিল্লাল মিয়া, বাঞ্ছারামপুরের আবুল কালাম আজাদ, বিজয়নগরের বাবুল আক্তার, সদর উপজেলার বাবুল মিয়া ও সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ।ঘটনা প্রবাহে গত রোববার তৃতীয় মাসিক সভা থেকে অভিযোগকারী ৮ সদস্যকে বের করে দেন  চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার। ওই সদস্যরা আগের সভায় একক ভাবে মামুনের নেয়া সিদ্ধান্তের রেজ্যুলেশনে স্বাক্ষর করতে রাজি না হওয়ায় মামুন ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের বেরিয়ে যেতে বলেন।  এতে অভিযোগ করা হয়, পরিষদের প্রথম সভায় সকল সদস্যের মতামত বা ভোটগ্রহণ ছাড়া তার অনুসারী ৩ সদস্যকে প্যানেল চেয়ারম্যান  নির্বাচন করেন মামুন। তাছাড়া সদস্যদের পাশ কাটিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন নিজেই। এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রকাশ্যেই বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচনের ভোটার উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি।  এটি প্রচলিত আইন ও বিধি-বিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন উল্লেখ করে সদস্যরা তাদের অভিযোগে বলেন,  জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন-২০২২ অনুযায়ী জেলা পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে উপজেলা পরিষদ/পৌরসভা সমূহের উন্নয়ন কার্যক্রমের সুষ্ঠু সমন্বয় নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়রগণকে পদাধিকার বলে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু জেলা পরিষদের রাজস্ব ও এডিপি বরাদ্দ স্থানীয় সরকারের ওই সকল চেয়ারম্যান ও মেয়রের অনুকূলে বিভাজন করার কোনো বিধান রাখা হয়নি। অথচ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার তার নিজ ক্ষমতা বলে  উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রদের ৪ লাখ টাকা করে এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ৩ লাখ টাকা করে বরাদ্দ বিভাজন করেন। শুধু তাই নয়, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উন্নয়ন প্রকল্পের চাহিদা প্রদানের একটি ফরম ছাপিয়ে বণ্টন করেছেন। এ ছাড়া কোনো অনুমোদন ছাড়াই ৮/১০ লাখ টাকায় ৩ হাজার কম্বল ক্রয় করেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *