মো. রবিউল আলম মুকুল
চলমান জীবনযাত্রায় যা অজানা,
তা প্রচেষ্টার মাধ্যমে আবিষ্কার করার নামই সাধনা।
চর্চা করা জরুরী যদিও বিষয়গুলো জানা,
জীবনীশক্তি উচ্চস্তরে সমুন্নত রাখতে যে অধ্যবসায় তার নামই সাধনা।
প্রয়াস আর সাধনার সময়কাল স্বল্প,
সুফল আর স্থায়িত্বকাল পুরো জীবনের গল্প।
সাধনা করেছিল প্রভুর প্রেরিত নবী,
জুলুম ও মিথ্যার বিপক্ষে ছিল সত্য ও সততার অনুবন্ধ ছিল সবই।
সাধনা করছে বিজ্ঞান,
তাদের প্রয়াস অব্যাহত, চলছে অভিযান।
সাধনা ছাড়া তিল পরিমানও অর্জন করতে পারে না কেউ,
মারুত ছাড়া অর্ণবে বয়ে আনে না উত্তাল ঢেউ।
সাধনা জরুরী,
চেতনার প্রতিফলনের তৈরি ঘুরছে সময়ের ঘড়ি।
সাধনার পরিণতি বেশি অংশই উন্নতি,
চাহিদা পূরণে সঠিক সাধনাই হওয়া উচিত মনুষ্য জাতির মূলনীতি।
অলসপ্রকৃতি সম্প্রদায়ের কাছে সাধনা বড় কষ্ট,
অলস মানুষের বেকার জীবন যেন অস্তিত্বই নষ্ট।
পেতে প্রভুর কাছ থেকে অমূল্য ধন,
প্রভুকে প্রদর্শন করতে হবে মনোরম মন।
পেতে প্রভুর কাছ থেকে পর্যাপ্ত,
গ্রহণ করার মত হতে হবে উপযুক্ত।
কেউ অতিরিক্ত পেলে,
উপযুক্ত না হলে সব যাবে জলে।
দাতা বুঝে শুনে করেন সম্প্রদান,
বুদ্ধিমান গ্রহীতা কোন না কোন ভাবে দেয় প্রতিদান।
মেধা, অর্থ, সম্মান, সফলতা নিয়ে গর্ব করার কিছুই নাই,
গর্ব এসে গেলে পোহাতে হবে দায়।
হতে হবে জনক-জননীর বাধ্য বৎস,
সৃষ্টিতে মানব সম্প্রদায় বড়ই রহস্য!
ইহকাল উত্তম কর্ম অগ্রে পাঠানোর সময়,
পাঠাতে ব্যর্থ হলেই পরাজয়।
বিকসিত জীবনধারণের মূল চাবিকাঠি
বারংবার উদ্যোগ ও আরাধনা,
সফলতার চূড়ান্ত অর্জনে পরিশ্রম আর প্রার্থনা,
দুটোই সাধনা।