মো. মাহফুজুর রহমান বিপ্লব, ফরিদপুর : ফরিদপুরে বিভিন্ন জায়গায় বিষাক্ত রাসেলস ভাইপারের বিস্তার ঘটেছে। এর কারণে মানুষ আতঙ্কিত। এই সাপের বেশি আবির্ভাব চর অঞ্চলে। সাপের কামড়ে অনেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এর মধ্যে দুই জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. ইশতিয়াক আরিফ সাপ ধরাকে কেন্দ্র করে পুরস্কার ঘোষনা করেন।
এরই মধ্যে ফরিদপুরে জীবন্ত রাসেলস ভাইপার সাপ ধরে বনবিভাগে জমা দেয় ফরিদপুর সদরের রেজাউল করিম ও আজাদ শেখ। জেলা আওয়ামী লীগের ঘোষণা অনুযায়ী তাদেরকে পুরস্কারের অর্থ প্রদান করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. ইশতিয়াক আরিফ।
সোমবার বিকেলে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ নিজের অফিসে এই দুই জনের হাতে ৫০ হাজার করে ১ লাখ টাকা পুরস্কার প্রদান করেন।
পুরস্কার পেয়ে আজাদ শেখ বলেন, আমি জেলা আওয়ামী লীগের ঘোষিত পুরস্কারের ৫০ হাজার টাকা পেয়েছি। আমি অনেক খুশি। মনে প্রাণে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানায় তাদের কথা রাখার জন্য।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ বলেন, আমাদের ঘোষণা অনুযায়ী তিন ব্যক্তিকে পুরস্কার বাবদ ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথা। সেই অনুযায়ী দুজনকে সোমবার রাতে আমার ৫০ হাজার করে এক লাখ টাকা দিয়েছি। আর একজনকে আমরা পুরস্কার দেব।এবং সেটা দুই-একদিনের মধ্যে দিয়ে দেব। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সর্বদা ফরিদপুরে বাসীর পাশে ছিলেন এবং থাকবে। জেলা আওয়ামী লীগের নেত্রীবৃন্দরা যে কথা দেন সেটা তারা পালন করেন।
তিনি আর ও বলেন, একটি আলোচনা সভায় মৃত রাসেলস ভাইপার সাপ আনতে পারলে ও পরবর্তীতে জীবিত রাসেলস ভাইপার ধরতে পারলে পুরস্কার দেয়া হবে কথাটি ইমোশনাল হয়ে বলেছিলাম। তবে বিষয়টি নিয়ে আমাদের নানাভাবে সমালোচনায় পড়তে হয়। পশু হত্যা আইনগতভাবে অপরাধ সেই বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে হতে একটি সংশোধনী দেয়া হয়েছে এবং পুরস্কারে ঘোষনার বিষয়টি প্রত্যাহার করা হয়েছে। যেহেতু আগে ঘোষণা দিয়েছি তার কারণে পুরস্কার দিয়েছি। এই ব্যপারে আর কাউকে কোন পুরস্কার দেয়া হবে না।