যায়যায় কাল প্রতিবেদক : কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য নিয়ে সোমবার দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে বিকালে যে সংঘর্ষের সূচনা, সেটি ঢাকা মেডিকেলেরও সামনেও ছড়ায়। সংঘর্ষ হয় শহীদুল্লাহ হলের সামনেও। এরপরও পুলিশের দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
কয়েক ঘণ্টা পর ৬টার দিকে শহীদুল্লাহ হলের পাশ দিয়ে সাঁজোয়া যানসহ দাঙ্গাদমনের সাজে সজ্জিত হয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকেন কয়েকশ পুলিশ সদস্য।
বেলা ৩টা থেকে ক্যাম্পাসের উত্তর দিকের জসীমউদদীন হল, বিজয় একাত্তর হল এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের পেটাতে শুরু করেন লাঠিসোটা, হেলমেটে সজ্জিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
সংঘাত ছড়াতে ছড়াতে উপাচার্যের বাংলো থেকে টিএসসি পর্যন্ত যায়। স্রোতের মতো আহত শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে। এক পর্যায়ে সেখানেও হামলাকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে গেলে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ঢাকা মেডিকেলের সামনে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় শহীদুল্লাহ হল এলাকা থেকে শোনা যায় হাতবোমা বিস্ফোরণের শব্দ।
ঢাকা মেডিকেলের ভেতর হট্টগোলের পর ছুটে আসেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার আসাদুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা; সেখানে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত আনসার সদস্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢোকা পুলিশের দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার। বিপ্লব কুমার সরকারকে শহীদুল্লাহ হলের আবাসিক শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।
সে সময় এসময় শহীদুল্লাহ হলের কিছু বিক্ষুব্ধ ছাত্র বাইরে এসে চীৎকার করে অুভিযোগ করতে থাকেন, হলে ঢুকে তাদের ওপর হামলা হয়েছে। পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ তাদের পাশে ছিল না।
পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের যা বলবে আমরা সেভাবে কাজ করব। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহায়তা করতে এসেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।”
রাত পৌনে ৮টার দিকে হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে ছাত্রদের ভেতরে যেতে এবং বহিরাগতদের বাইরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়।