নুরুল আমিন, ভূরুঙ্গামারী( কুড়িগ্রাম): কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় মঈনুদ্দিন নামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে স্ত্রী সোমা খাতুন (২১) কে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার রাত নয়টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাগভান্ডার গ্রাম থেকে সোমাকে আটক করা হয়।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, প্রায় চার বছর আগে ভোটহাট গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে মঈনুদ্দিন (৩২) এর সাথে পাথরডুবী ইউনিয়নের তালুক মশালডাঙা গ্রামের উমর আলীর মেয়ে সোমা খাতুন(২১) এর বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর স্বামী মঈনুদ্দিন সিঙ্গাপুর চলে যান । স্বামীর অনুপস্থিতিতে পরকিয়ায় জড়ায় সোমা খাতুন । পরিবারের লোকজন বিভিন্ন ভাবে বুঝিয়েও সোমাকে পরকীয়া থেকে ফেরাতে পারেনি। পরে গত ৪ ডিসেম্বর বুধবার দেশে ফিরে আসেন মঈনুদ্দিন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ব্যাপক ঝগড়া হয়।
শনিবার রাতে দুজন মিলে সোমার বড় বোনের বাড়িতে (বাগভান্ডার ) দাওয়াত খেতে যায়। বোনের বাড়িতে গিয়েও স্বামীর সাথে ঝগড়া বাধায় সোমা এবং অকথ্য ভাষয় গালি গালাজ করে । ঝগড়ার এক পর্যায় দুজনের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। মঈনুদ্দিন বিছানায় বিশ্রাম নিতে গেলে স্ত্রী সোমা খাতুন নতুন ব্লেড দিয়ে তার স্বামীর গলা কেটে দেয় ।
পরে মুমূর্ষ অবস্থায় পরিবারের লোকজন মঈনুদ্দিনক উদ্ধার করে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। অবস্থার অবনতি হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
ঐ রাতেই ভূরুঙ্গামারী থানায় সোমা খাতুনের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত হত্যার চেষ্টা মামলা দায়ের করেন মঈনুদ্দিনের পরিবার।
মামলা দায়েরের পর রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমা খাতুন ক আটক করে। ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি মুনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ পেয়ে রাতেই অভিযান চালিয়ে সোমা খাতুনকে আটক করা হয়েছে।