
খাঁন মো. আঃ মজিদ, দিনাজপুর: সরবরাহ কমে যাওয়ার অজুহাতে দিনাজপুরের হিলি বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা।
গত সপ্তাহে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। হঠাৎ এ দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন।
সপ্তাহের ব্যবধানে হিলিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা।
পেঁয়াজ কিনতে আসা এনামুল হকসহ কয়েকজন ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘দুই-তিন দিন আগেও যেই পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি ছিল, সেই পেঁয়াজ এখন ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, এটা কোনোভাবেই বোঝার মতো নয়। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে কে?’ আরেক ক্রেতা বলেন, ‘পুরো রমজান মাসজুড়ে পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম ছিল স্বাভাবিক। অথচ এখন হঠাৎ করে দাম বাড়ছে।
প্রশাসন কি কিছু দেখছে না?’ হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল খান জানান, মৌসুম শেষের দিকে থাকায় দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। আগে যেখানে মোকামে প্রতিদিন ৩ থেকে ৫ ট্রাক পেঁয়াজ আসত, এখন আসছে ১ থেকে ২ ট্রাক। ফলে দাম বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘পূর্বে প্রতিমন পেঁয়াজ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হতো, বর্তমানে তা বেড়ে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে আমরাও বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।’ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দাম আবার কমে আসতে পারে। অন্যথায় দাম আরও বাড়তে পারে।
এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত রায় বলেন, ‘কোনো ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে যেন পেঁয়াজের দাম বাড়াতে না পারে, সে কারণে আমরা নিয়মিত বাজার মনিটর করছি। ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তবে যদি কেউ মজুদ করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’