বুধবার, ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

এবার সরে গেলেন মৃধা, পরিস্কার পথে সাত্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তিন নেতার পর এবার সরে দাঁড়িয়েছেন আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা। 

আজ বুধবার (১৮ জানুয়ারি) গণমাধ্যম পাঠানো তার সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা যায়। জিয়াউল হক মৃধা জাতীয় পার্টির সাবেক কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি।

গত ১৬ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধাকে সিংহ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। গতকাল ১৭ জানুয়ারি তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সেই প্রতীক বদলে ডালিম প্রতীক তাকে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

জিয়াউল হক মৃধা তার পাঠানো বিবৃতিতে লিখেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর দল জাতীয় পার্টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে থেকে অত্র আসন হতে দুইবারের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও বেগম রওশন এরশাদ কর্তৃক সূচিত বহুমুখী উন্নয়নের ধারায় নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করেছি। তবে আসন্ন উপ-নির্বাচন পরবর্তী সংসদীয় মেয়াদকাল জনগণের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য খুব সংক্ষিপ্ত সময়। ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ অনুষ্ঠিতব্য উপ-নির্বাচনের প্রচারণায় আমি আমার নির্বাচনী আসনের সম্মানিত ভোটারগণকে যে ওয়াদা এবং আশ্বাস দিয়ে ভোট প্রার্থনা করবো, সংক্ষিপ্ত সময়ে সে ওয়াদা ও আশ্বাস বাস্তবায়ণ করা অত্যন্ত দূরূহ বলে আমি মনে করি। আমি সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে উন্নয়নের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সম্মানিত ভোটারগণের সাথে প্রতারণা করতে পারি না। সংবিধান অনুযায়ি অনুষ্ঠিতব্য আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার আসনের সম্মানিত ভোটারগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ইনশাআল্লাহ জয়ী হয়ে আমার উন্নয়নের পরিকল্পনা ও আশ্বাস তথা আমার অসমাপ্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবো বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। এ প্রেক্ষিতে ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন হতে আমি এডভোকেট  জিয়াউল হক মৃধা স্বেচ্ছায় সরে দাড়ালাম। পরিশেষে আমার সমর্থক নেতা-কর্মী, শুভাকাঙ্খী যারা সার্বক্ষণিক আমার সাথে ছিলেন ও নির্বাচনী এলাকার আপামর জনগণের নিকট গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

এই বিষয়ে জানতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধার মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে জিয়াউল হক মৃধার ছেলে বিদ্যুৎ মৃধা মুঠোফোনে  জাগোনিউজ’কে নিশ্চিত করে বলেন, আমার বাবা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এর বেশি কিছু বলতে পারবো না। বিস্তারিত বিবৃতিতে উল্লেখ আছে।

জিয়াউল হক মৃধা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোতে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা সাবেক এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়ার জয়ের পথ আরও পরিস্কার হলো মনে করছেন ভোটাররা।

এর আগে, গত ১৪ জানুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন আওয়ামী লীগের তিন নেতা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন ও শাহজাহান সাজু।

এর ফলে, আব্দুস সাত্তারের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রয়ে গেলেন জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ।

উল্লেখ্য, ২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবারও অংশ নিতে যাচ্ছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া। তিনি এই আসনে ৫ বার এমপি ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তিন নেতার পর এবার সরে দাঁড়িয়েছেন আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা। 

আজ বুধবার (১৮ জানুয়ারি) গণমাধ্যম পাঠানো তার সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা যায়। জিয়াউল হক মৃধা জাতীয় পার্টির সাবেক কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি।

গত ১৬ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধাকে সিংহ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। গতকাল ১৭ জানুয়ারি তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সেই প্রতীক বদলে ডালিম প্রতীক তাকে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

জিয়াউল হক মৃধা তার পাঠানো বিবৃতিতে লিখেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর দল জাতীয় পার্টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে থেকে অত্র আসন হতে দুইবারের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও বেগম রওশন এরশাদ কর্তৃক সূচিত বহুমুখী উন্নয়নের ধারায় নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করেছি। তবে আসন্ন উপ-নির্বাচন পরবর্তী সংসদীয় মেয়াদকাল জনগণের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য খুব সংক্ষিপ্ত সময়। ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ অনুষ্ঠিতব্য উপ-নির্বাচনের প্রচারণায় আমি আমার নির্বাচনী আসনের সম্মানিত ভোটারগণকে যে ওয়াদা এবং আশ্বাস দিয়ে ভোট প্রার্থনা করবো, সংক্ষিপ্ত সময়ে সে ওয়াদা ও আশ্বাস বাস্তবায়ণ করা অত্যন্ত দূরূহ বলে আমি মনে করি। আমি সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে উন্নয়নের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সম্মানিত ভোটারগণের সাথে প্রতারণা করতে পারি না। সংবিধান অনুযায়ি অনুষ্ঠিতব্য আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার আসনের সম্মানিত ভোটারগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ইনশাআল্লাহ জয়ী হয়ে আমার উন্নয়নের পরিকল্পনা ও আশ্বাস তথা আমার অসমাপ্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবো বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। এ প্রেক্ষিতে ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন হতে আমি এডভোকেট  জিয়াউল হক মৃধা স্বেচ্ছায় সরে দাড়ালাম। পরিশেষে আমার সমর্থক নেতা-কর্মী, শুভাকাঙ্খী যারা সার্বক্ষণিক আমার সাথে ছিলেন ও নির্বাচনী এলাকার আপামর জনগণের নিকট গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

এই বিষয়ে জানতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধার মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে জিয়াউল হক মৃধার ছেলে বিদ্যুৎ মৃধা মুঠোফোনে  জাগোনিউজ’কে নিশ্চিত করে বলেন, আমার বাবা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এর বেশি কিছু বলতে পারবো না। বিস্তারিত বিবৃতিতে উল্লেখ আছে।

জিয়াউল হক মৃধা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোতে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা সাবেক এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়ার জয়ের পথ আরও পরিস্কার হলো মনে করছেন ভোটাররা।

এর আগে, গত ১৪ জানুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন আওয়ামী লীগের তিন নেতা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন ও শাহজাহান সাজু।

এর ফলে, আব্দুস সাত্তারের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রয়ে গেলেন জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ।

উল্লেখ্য, ২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবারও অংশ নিতে যাচ্ছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া। তিনি এই আসনে ৫ বার এমপি ছিলেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ