
মো: আলমগীর হোসেন, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের বাদে উবাহাটা গ্রামের প্রবাসী ইউসুফ মিয়া অভিযোগ করেছেন, তিনি বিদেশে অবস্থানকালে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল তার ৪০ শতাংশ জমি জবরদখল করেছে। এ বিষয়ে আদালতে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, অভিযুক্ত সুলতানা বেগম (স্বামী: মৃত মহরম আলী) ও তার স্বজন লতিফ মিয়া, কালাম মিয়া (পিতা: মৃত রফিক মিয়া), কালা মিয়া, হামিদ মিয়া ও করিম মিয়া (পিতা: মৃত মফিজ উল্ল্যা) ইউসুফ মিয়ার দাবি করা জমিতে টিন দিয়ে ঘর নির্মাণ করে জমিটি দখল করে রেখেছেন।
এই জমিতে ঘর নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে সুলতানা বেগম গণমাধ্যমকে জানান, এটি তার শশুর মফিজ উল্লার সম্পত্তি এবং সেই সূত্রে তিনি ঘর নির্মাণ করেছেন। তিনি আরও দাবি করেন, এ জমির বিষয়ে আদালত থেকে সাতবার রায় পেয়েছেন।
অন্যদিকে, প্রবাসী ইউসুফ মিয়ার ভাই আলকাছ মিয়া গণমাধ্যমকে জমির মালিকানার দলিল দেখিয়ে বলেন, “আমরা ক্রয়সূত্রে এই জমির মালিক। সুলতানা বেগম যে সাতবার আদালতের রায় পাওয়ার কথা বলেছেন, তা আমাদের দাগভুক্ত জমির নয়, বরং অন্য দাগের জমির রায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরিবারের সদস্যরা প্রায় সবাই প্রবাসে থাকেন। আমি নিজেও সিলেটে থাকি। এই সুযোগে প্রতিবেশীরা বহিরাগতদের এনে জোরপূর্বক আমাদের জমি দখল করেছে। প্রশাসনের কাছে আমরা ন্যায়বিচার চাই।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা যায়, ৫নং কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া শাফি বিষয়টি জানতে পেরে সালিশের উদ্যোগ নিয়েছেন। মীমাংসার জন্য লোক পাঠিয়ে জানান, তিনি ব্যক্তিগত কাজে বাইরে আছেন, ফিরে এসে বিষয়টি দেখবেন। কিন্তু তার অনুরোধ উপেক্ষা করে সুলতানা বেগম ও তার স্বজনরা সেখানে ঘর নির্মাণ করেন।
সুলতানা বেগম নিজেও গণমাধ্যমে দেওয়া ভিডিও বক্তব্যে স্বীকার করেছেন যে, সাবেক চেয়ারম্যান সালিশের উদ্যোগ নিয়েছেন।
আলকাছ মিয়া জানান, ‘প্রায় ৮০ বছর ধরে আমাদের পূর্বপুরুষেরা এই জমি ভোগদখল করে আসছেন। আমার ভাই ইউসুফ মিয়া গত তিন-চার বছর ধরে প্রবাসে থাকায় এবং বাড়িতে শুধুমাত্র নারী সদস্যরা থাকায় তারা সুযোগ নিয়ে আমাদের জমি দখল করেছে। বর্তমানে তারা বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকিও দিচ্ছে।’ স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।