
আমির হোসেন সবুজ : বৈষম্য বিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলন বর্তমান স্বাধীন দেশের জন্য এটি সোনালী ফসল। পৃথিবীর অন্যতম শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তত্ত্বাবধায়ক ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সকল উপদেষ্টাগণকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কারাবন্দিদের অমানবিক জীবনধারন ও কারামুক্তির বৈষম্যের বিষয়ে অবহিত করছি।
আয়নাঘরের চাইতে ভয়ংকর, কারাবন্দি ভাই-বোনদের আর্তনাদের কথা। ৫৬৯ ধারায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেল জীবনে রেয়াতসহ ২২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়। সেখানে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগার,পাবনা জেলা কারাগার, বগুড়া জেলা কারাগারে প্রায় ১৫ হাজার করাবন্দি তাদের কারাগারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও আটকে আছেন।
যদিও বিভিন্ন সময়ে কারাগারের বন্দীদের জন্য মন্ত্রণালয়ে কারাবন্দির মুক্তি বিষয়ে কেরানীগঞ্জের সিনিয়র জেল সুপার মানবিক সৎ অফিসার সুভাষ ঘোষ, তৎকালীন সময় সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার আল মামুন, জেল সুপার ফারুক, জেল সুপার আবুল বাশার, জেল সুপার রিতেশ চাকমা, জেল সুপার শাহাদত বারবার ৫৬৯ ধারায় মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের মুক্তির জন্য আবেদন করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছেন। কারণ এই অফিসারগণ যেমন মানবিক তেমনি সৎ, উদার, প্রগতিশীল। এই অফিসারদের চিন্তা চেতনাতেই সবসময়ই কারাবন্দীদের কল্যাণে নিবেদিতভাবে কাজ করতে দেখেছি আমি প্রত্যক্ষভাবে। কারণ আমি ৯৬-র শেখ হাসিনার শাসনামলে রাজনৈতিক হয়রানি ও মিথ্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত হই। আমার সোনালী সময় কারাগারে দীর্ঘ ২২ বছর ৭ মাস ১১ দিন জেল খেটে ২০২০ সালের ১৬ আগস্ট মুক্তি পাই।
আমি সেই সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক ছিলাম। ঢাকায় নাজিম উদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে শুরু করে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার, পাবনা জেলা কারাগার এবং মুক্তির পূর্বের সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে ছিলাম। তাই খুব কাছ থেকে দেখেছি সাধারণ বন্দীদেরকে সন্তান স্নেহে এই অফিসাররা আগলে রেখেছেন। রাখিবো নিরাপদ, দেখাবো আলোর পথ।
২০১৪ সালে সে সময় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনে যান। সেখানে আমি ৫৬৯ ধারায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মুক্তির বিষয়ে আবেদন করেছিলাম। সেই অপরাধে কারা কর্তৃপক্ষকে শাস্তি দিয়েছিল সাবেক কুখ্যাত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আর পুরস্কার হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনের পর আমার ভাগ্যে জুটে ছিল অমানুষিক নির্যাতন। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে তাৎক্ষণিক আমাকে বন্দী করে পায়ে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে দীর্ঘদিন রেখেছিল। তখনও আমি দেখেছি অফিসারদেরকে চাকরির পরোয়া না করে এই অফিসাররাই আমাকে সাহস যুগিয়েছেন, সন্তান স্নেহে আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাই অন্তত তাদের উপকারের কথা কারারক্ষী ভাইদের উপকারের কথা কোনোদিন ভুলতে পারবো না।
আজকে আমি মুক্ত জীবনে যদি কারাগার নিয়ে গর্ব করতে হয় তাহলে আমি হলফ করে বলবো কারাগার আমার সেকেন্ড হোম। কারা পরিবারকে আমি নিজের অভিভাবক হিসেবে সারা জীবন লালন করব হৃদয়ে। সরকার কর্তৃক তাদের প্রতি প্রচণ্ড অমানুষিক চাপ থাকা সত্ত্বেও কারাবন্দীদের জন্য তাদের উদারতা আমি স্বচক্ষে দেখেছি এবং কারাগারের ৮০% মানুষ নিরপরাধ।
শুধুমাত্র একটি কারাগারে যদি থাকতাম তাহলে আমি বুঝতে পারতাম না। যেহেতু আমি বাংলাদেশের বিভিন্ন কারাগারে ছিলাম, তাই একজন কারাবন্দি হিসেবে আমি দেখেছি বিনা দোষে প্রতিটি কারাগারে ৮০% মানুষ অপরাধ না করে কারাভোগ করছে। যেহেতু কারাবিধির ৫৬৯ ধারায় দীর্ঘ ২৩ বছর পর আমি ২০২০ সালের ১৬ আগস্ট মুক্তি প্রাপ্ত হই। তাহলে বর্তমান জেলখানায় কারাবন্দি ভাইয়েরা মেয়াদ পূর্ণ করে মুক্তিরপ্রহর গুনছে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় বছর হল।
হাজার হাজার কারাগার থেকে মুক্তি হলো এখন তাদের অধিকার। জেল কোডের বিধানেই তারা মুক্তিপ্রাপ্ত! এখন পর্যন্ত তাদের কোনো মুক্তির ব্যবস্থা নেয়নি রাষ্ট্রীয়ভাবে। আমি প্রধান উপদেষ্টাসহ মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে কারা বিধির ৫৬৯ ধারায় মুক্তির জন্য আবেদন করছি। হাজার হাজার বন্দীদের কারা বিধির ৫৬৯ ধারায় মুক্তির জন্য।
যদি তাদেরকে মুক্ত বাংলাদেশে শহীদ আবু সাঈদের বাংলাদেশ, শহীদ মীর মুগ্ধর বাংলাদেশ, শহীদ নাম না জানা হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী ভাইবোনদের বাংলাদেশে মুক্তি প্রাপ্ত না হয়, তাহলে রাষ্ট্রীয় আইন প্রশ্নবিদ্ধ হবে? কারণ আমি নিজে এই ধারায় মুক্তিপ্রাপ্ত। আমার সৌভাগ্য শত বছরের আয়ু নিয়ে আমার মা জননী আমার মুক্তির অপেক্ষায় তীর্থের কাকের মত পথ চেয়েছিল।
মহান আল্লাহপাকের অশেষ রহমতে আমরা মুক্তিপ্রাপ্ত হই। বর্তমান কারাবন্দীদের যদি মুক্তির ব্যবস্থা না করা হয় তাহলে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টাসহ উপদেষ্টাগণদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমার আবেদন দয়া করে আমাকে পুনরায় কারাগারে কয়েদি পোশাকে জেলখানার জীবনে ফিরিয়ে দিন। আমি এই মুক্ত জীবন চাই না। আমার কারাবন্দি ভাইয়েরা দণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে। আর আমি আছি মুক্ত জীবনে!
শুধু আল্লাহর কাছে একটি শুকরিয়া সবচাইতে বড় আত্মার প্রশান্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের আন্দোলনে আমি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছাত্র ভাই-বোনদের নিয়ে রাজপথে সম্মুখ যুদ্ধের একজন সৈনিক ছিলাম। যেখানে শরিক হতে আমাকে বাধ্য করেছিল শহীদ মহাবীর আবু সাঈদ শহীদ মীর মুগ্ধসহ অসংখ্য মেধাবীদের মৃত্যুর মিছিলকে আমি মেনে নিতে পারিনি। ভাই শেষ জীবনে এসে নতুন সূর্যোদয়ের প্রত্যাশায় লড়াইরত ছিলাম স্বদেশকে মুক্ত করেছি ব্যাস, এই আমার স্বান্তনা? আমি আমার মুক্ত জীবন চাইনা। দয়া করে ব্যাক টু প্যাভিলিয়ন আমাকে আমার বাসভবন কারাগারে আটকে রাখেন। কারাবন্দিদের সাথে থাকা তাতেই আমার সুখ! এ দেশের বিচার ব্যবস্থা এমনকি আইন পেশার সাথে আইনজীবীদের যেমন অসৎ, সেম সাইড ব্যাটিংয়ে আমিও ক্ষতিগ্রস্ত। বৃহত্তর পাবনা, সিরাজগঞ্জ জেলার একটি মানুষও বলতে পারবে না আমি এই হত্যা মামলার সাথে জড়িত? আমাকে কিন্তু দীর্ঘ ২৩ বছর জেল খাটতে হয়েছে।
কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী, দেশ স্বাধীনের নতুন পতাকার জন্মে আমি লড়াই করেছি… রাজপথে থেকে। আমি দাবি জানাচ্ছি, স্বাধীন বাংলাদেশ আরেকটি দিন যেন কোন কারাবন্দি ভাইবোনেরা অন্যায়ভাবে কারা ঘানি না টানতে হয়। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় আমাকে মিথ্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছিলেন যে জজ সাহেব তৎকালীন মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সাহেব সেই এডিশনাল জজকে জেলা ও দায়রা জজদের পুরস্কার ও পদোন্নতি দিয়ে ১৯৯৯ সালে সিলেট বদলি করে দিয়েছিল। যেখানে বিচারকরা পদোন্নতির লোভে একজন নিরাপরাধ মানুষকে ফাঁসি অথবা যাবজ্জীবন যেন দণ্ড দেন নির্দ্বিধায়, যেখানে আইনজীবীকে দেখেছি উভয় পক্ষের কাছে টাকা খেয়ে একজন মিথ্যা মামলার আসামিকে পোস্টমর্টেম করা? এসবই নির্মমতার শিকার আমি। আমি কাউকে অভিশাপ দেইনিম, কখনো দেব না। শুধু আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখেছি নিয়তির বিধানে মহান আল্লাহ পাক যেটাতে খুশি আমি সেটাকে সাদরে গ্রহণ করে আমি নিজেও খুশি হয়তো আল্লাহপাক এরই মধ্যে আমাকে পরীক্ষা করেছিলেন। নিয়তি নিষ্ঠুরতায় কারাগারের ৮০ শতাংশ মানুষ নিরপরাধ। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি।
আমার এই লেখনিতে যদি এক বিন্দু পরিমাণের মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে থাকি তবে অবশ্যই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আবেদন সর্বোচ্চ শাস্তি মেনে নিতে আমি প্রস্তুত। কিন্তু আমার নিরপরাধ কারাবন্দি ভাইদের অবৈধ জেলজীবন আমি মেনে নিতে পারছি না। স্বৈরাচার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ এক দফার ভিত্তিতে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল।আমাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে অর্জিত সম্মানে আর জাতীয় পতাকা আপনাদের গাড়ির পতাকা উড়ছে। আর কারাগারে হাজার হাজার কয়েদি ভাই-বোনরা মুক্তির অপেক্ষায় দুশ্চিন্তায় হতাশায় হার্ট অ্যাটাক করে মারা যাচ্ছেন।
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা দাশুরিয়া ইউনিয়নের ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা শরিফুল ইসলাম তুহিন কারাগারের মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। রাজশাহী শহরের রাজু আহমেদ, পিতা ছোটন রায়, এবং সোহেল, পিতা আফসার আলী মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারের মেয়াদ শেষ করেও মুক্তি পাচ্ছে না।
সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে চৌহালীর জয়নাল, এবং প্যারালাইসিস হয়ে হাফিজ নামের একজন সশ্রম দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি মানবেতর জীবনযাপন করছে। এদের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার বন্দী মুক্তির অপেক্ষায় প্রতিদিনই প্রহর গুনছে। তাদের মুক্তির অপেক্ষায় বৃদ্ধ বাবা-মা সন্তানেরা পথ চেয়ে আছে।
আমার মা সারা জীবন আমল করেছেন। আমার মায়ের একটি শখ ছিল। আল্লাহর কাছে যেটি প্রার্থনা করে বলেছিলেন আমার মা জননীর মৃত্যুতে যেন তার সন্তানের হাতের মাটি কবরে পড়ে। আল্লাহপাক সেটা কবুল করেছেন। যদিও আমি চাই আমার মায়ের মৃত্যুর আগে যেন আমার মরণ হয়। প্রত্যক বাবা-মায়ের একটাই চাওয়া তাদের মৃত্যুতে যেন তাদের সন্তানরা কবরে মাটি দিতে পারে। সেটা নিশ্চয় আপনারা চান না। দয়া করে ওই দুঃখিনী বাবা-মায়ের আকুতি তাদের বঞ্চিত না করে তাদের কোলে ফিরিয়ে দিন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রার্থনা- তাদের ন্যায্য অধিকার কারাগার থেকে মুক্তি আপনাদের দিতে হবে। তা না হলে আমি আমার মুক্তি প্রত্যাহার করব। গণতান্ত্রিক এই দেশে আইন সবার জন্যই সমান।
আজকে কারাবন্দি ভাইরা যদি আইনের শাসন না পান, তাহলে সে মুক্তি আমার দরকার নেই। হাতের আঙ্গুল সবগুলোই সমান নয়। কিন্তু নাগরিক হিসেবে সকলেই সমান। আপনারা কি ফিরিয়ে দিতে পারবেন আমার সোনালী অতীতের ২৩টি বছর। সম্পূর্ণ স্বাধীন এই দেশ, যে দেশে ন্যায্য অধিকার বঞ্চিত হবে সেই মুক্তির স্বাদ আমি চাই না। আপনারা সরকারের সাথে জরুরি ভিত্তিতে কথা বলুন। নতুন বাংলাদেশ সেখানেও যদি কারাবন্দিরা বঞ্চিত হন তাহলে হয় সরকারকে আমার কারা মুক্তি প্রত্যাহার করে নিতে হবে নইলে সকল বন্ধুকে মুক্তি দিতে হবে। এটা কারাবন্দীদের ন্যায্য অধিকার। যদি আপনারা উদাসীন থাকেন তাহলে কাল কিয়ামতের মাঠে প্রতিটি কারাবন্দি ভাই বোনদের বাবা-মায়ের মজলুমের আর্তনাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
মজলুমদের অধিকার আপনারা ফিরিয়ে দিন। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করুন। প্রমাণ করুন- আপনারা দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসেন। আমার লেখায় যদি আঘাত পেয়ে থাকেন তাহলে ক্ষমা চাই না কারণ আমি নিরপরাধ হয়েও জেল খেটেছি ২৩টি বছর।
রাষ্ট্রের নতুন প্রত্যাশা বাংলাদেশকে যারা বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছেন তাদের নিয়ে আমার বাংলাদেশ স্মারক বহন করেন।
অন্তর্বর্তীকালিন সরকারপ্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সকল উপদেষ্টা মহোদয়কে কঠিন কঠোর পাথরের আর্তনাদ থেকে দোয়া এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চলতি বছরের জুলাইয়ের ২২ তারিখে রাষ্ট্রীয় রাইফেলের গুলির মুর্হু মুর্হু শব্দের মধ্য আমার সদ্য পুত্র সন্তান ইরফান আরিশ মুগ্ধ জন্ম নিয়েছে। আমি আমার পুত্র সন্তানের নাম শহীদ মীর মুগ্ধ নামেই রেখেছি। আমার সন্তানের পক্ষ থেকেও নতুন বাংলাদেশকে অভিনন্দন।
লেখক: সদ্য কারামুক্ত আমির হোসেন সবুজ
কয়েদী নম্বর: ৭৬৪৭/এ
পাঠানপাড়া, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ