মঙ্গলবার, ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনে শীর্ষ নেতৃত্বে আলোচনায় কেন্দ্রীয় উপ-দপ্তর সম্পাদক শিমুল

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজহাতে গড়া আদর্শভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পদপ্রত্যাশীদের চোখে যেনো নেই ঘুম। আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম এই ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বহুল প্রতীক্ষিত ৩০ তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৬ ডিসেম্বর। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আসন্ন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনে আলোচনায় এগিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের উপ-দপ্তর সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম খান শিমুল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত শিমুল। রাজশাহী নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজে পড়ার সময় ২০১২ সালে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২-১৩ সালে রাজশাহীতে বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সাহসীকতার সাথে মোকাবিলা করেন এবং শিবিরের তান্ডবের বিরুদ্ধে লড়াকু কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

ছাত্রজীবনে মেধাবী শিমুল পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ভর্তি হন এবং শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের ক্যান্টনমেন্ট খ্যাত জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে সাহসী ভূমিকা পালন করেন এবং হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের (২০১৫-১৬) দায়িত্ব পালন করেন।

সূত্র বলছে, রাজনীতিতে সাহসীকতা ও পরিশ্রমের স্বীকৃতি পান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে কার্যকরী সদস্য (২০১৬-১৮) ও পরবর্তীতে উপ-দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার মাধ্যমে। পার্বত্য চট্টগ্রামের আওতাধীন রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক দায়িত্ব পেয়ে তিনি রাঙামাটির দূর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোসহ সম্পূর্ণ রাঙামাটির ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করার উদ্যোগে কয়েকবার রাঙামাটি পরিদর্শনে যান এবং ঝিমিয়ে পড়া ইউনিটগুলোতে কর্মসূচি ও নতুন ইউনিটের কমিটি প্রণয়নে সহযোগিতা করে প্রশংসা কুড়ান। এছাড়াও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর আদেশ মোতাবেক বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে নিজ নির্বাচনী এলাকা পাবনা-১ আসনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচনী সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেন। ডাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্যানেলকে বিজয়ী করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম খান শিমুল ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা নির্যাতনের শিকার হন। তিনি ছাত্রদল নেত্রী মানসুরা কর্তৃক মিথ্যা মামলার অন্যতম আসামি৷ কোটা সংস্কার আন্দোলনে মারাত্মক আহত হন, যার ক্ষত এখনও বহন করে যাচ্ছেন তিনি।

তার পরিবার নির্যাতিত আওয়ামী লীগ পরিবার। জামায়াতে ইসলামীর কুখ্যাত রাজাকার মতিউর রহমান নিজামীর আমলে তাদের পরিবার আওয়ামী লীগ করার কারণে নানা নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। তার পিতা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ভাই আর-আতাইকুলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন,” স্কুল জীবন থেকেই জয় বাংলা স্লোগানের মিছিলে হেঁটেছি, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সততা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে উপ-দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা খ্যাত পাবনা-১ আসনে নৌকা বিজয়ে ছাত্রলীগের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেছি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে গিয়ে মামলা-হামলার শিকার হয়েছি, যা এখনও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে কাজ করতে চাই।

উল্লেখ্য, ছাত্রলীগ নেতা মিরাজুল ইসলাম খান শিমুলের বাড়ি পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার আর-আতাইকুলা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *