
জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসে গত ১২মে নতুন ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আবেদন করেন ডলি আক্তার স্বর্ণা। স্বামীর নাম মোঃ সজিব হোসেন যিনি একজন পুলিশ সদস্য। ডলি বেগমের ভোটার নিবন্ধন করতে কেন দেরি হচ্ছে এ বিষয়ে জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইমরান হোসেনকে চার্জ করেন ডলির স্বামী পুলিশ সদস্য সজিব হোসেন। কাগজপত্র ঘাটতি আছে বলে নিবন্ধন করা যায়নি এমন কথা বললে পুলিশ সদস্য ইমরান হোসেনের উপর ক্ষিপ্ত হন এবং নির্বাচন কর্মকর্তা তার কাছ থেকে ঘুষ দাবী করেছেন বলে চিৎকার করেন এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের ডেকে আনেন তিনি। শুধু তাই নয় এসময় পুলিশ সদস্য একরকম ক্ষমতা দেখাতে থাকেন এবং নির্বাচন অফিসার কে গালিগালাজ করতে থাকেন।
উপস্থিত সাংবাদিকরা বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন অফিসার ইমরান হোসেনের সাথে বলেন এবং ঘুষ দাবীর বিষয়টি অসত্য বলে প্রমাণিত হয়। এ নিয়ে দু একটি মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার হয়।
পরবর্তীতে নির্বাচন অফিসে সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টির তদন্তে বেরিয়ে আসে ভিন্ন চিত্র। নির্বাচন অফিসের দেয়া তথ্যমতে আবেদনকারী ডলি বেগমের স্থায়ী ঠিকানা কেন্দুয়া, নেত্রকোনা জেলা। স্বামী সজিবের স্থায়ী ঠিকানা নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলায়। স্বামী জয়পুরহাটে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে চাকরি করার সুবাদে জয়পুরহাট কে ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করে ভোটার নিবন্ধনের আবেদন করেন। নির্বাচন অফিসের নিয়ম অনুযায়ী অস্থায়ী ঠিকানা থৃকে ভোটারের আবেদন করতে হলে ভারা বাসার ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৬মাস বসবাস করতে হবে এবং বাড়িওয়ালার ঠিকানা, ভোটার আইডি, বিদ্যুত বিলের কাগজ, স্বামী স্ত্রী প্রমাণে
কাবিননামা কিংবা সন্তান থাকলে তার জন্ম নিবন্ধন ইত্যাদি ডকুমেন্ট দিতে হয়। ডলি বেগমের আবেদনের সাথে একটি বিদ্যুত বিল ছাড়া কোন পেপারস ছিলনা তবে মানবিক কারনে তার ছবি তোলার কাজটি করেছিল নির্বাচন অফিস। তবে ভোটার হওয়ার ক্ষে যথেষ্ট তথ্য না থাকায় কাজটি পেন্ডিং রাখা হয়। পরবর্তীতে চলতি মাসের গত ১৯ তারিখে পুলিশ সদস্য সজিব হোসেন নির্বাচন অফিসে তার ছেলের জন্মনিবন্ধন জমা দিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ভোটার নিবন্ধনের দাবী জানান। নিবন্ধন না হওয়ায় নির্বাচন অফিসার ইমরান হোসেনের সাথে তিনি খারাপ দুর্ব্যবহার করেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ইমরান হোসেন জানান, সজিব হোসেন একজন সরকারি চাকরিজীবি হয়েও ক্ষমতার অপব্যবহার করেন এবং একজন অফিসারের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবীর অভিযোগ তোলেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এর আগেও সজিব হোসেন গত ১১ ফেব্রুয়ারি নিলুফা ইয়াসমিন নামে এক নারীকে ভোটার সংশোধনের জন্য সুপারিশ করেন যেখানে শিক্ষা সনদে পিতার নামে ঘষা মজা ছিল। সজিব সেই সনদে ঘষা মাজা করে নিজে থেকে নাম বসিয়ে সনদ জমা দেন যা তদন্তে ধরা পড়ে । এবিষয়ে আর ভুল হবেনা বলে তখন ওয়াদা করেন ঐ পুলিশ সদস্য। পরে নিজের স্ত্রীর ক্ষেত্রেও তিনি পুলিশের ক্ষমতা দেখান বলে জানান নির্বাচন কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে পুলিশ সদস্য সজিব হোসেন জানান, ইতিপূর্বে তিনি কারো জন্য সুপারিশ করেননি আর তার স্ত্রীর ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে সব কাগজ জমা দিয়েছেন, নির্বাচন অফিসার ঘুষ চেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। সজিব হোসেন জয়পুরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডিএসবিতে কর্মরত ছিলেন বর্তমানে তিনি খাগড়াছড়ি জেলাতে বদলি হয়েছেন।
৫ thoughts on “জয়পুরহাটে সঠিক তথ্য না দিয়ে ভোটার হওয়ার চেষ্টা, নির্বাচন অফিসে ক্ষমতার দাপট পুলিশ সদস্যের”
সজীব হোসেন একজন পুলিশ সদস্য। সে পুলিশের ক্ষমতা প্রয়োগ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না দিয়ে তার স্ত্রীকে ভোটার করার জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসার কে চার্জ করে। এবং সজীব হোসেন ,উপজেলা নির্বাচনে অফিসারের সাথে অসৌজন্য আচরণ করে। সজীব হোসেন পুলিশি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা প্রচার করে । সেদিন উপজেলা নির্বাচন অফিসে সজীব হোসেন খুবই খারাপ ব্যবহার হয়েছে যা পুলিশ বাহিনীর জন্য লজ্জা জনক। কারণ পর্যাপ্ত কাগজপত্র জমা না দিয়ে সজীব হোসেনের স্ত্রীকে ভোটার করার জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসার কে ফোর্স করে ,এটা ক্ষমতার অপব্যবহার।
উপজেলা নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং মিথ্যাচার।
সৎ নিষ্ঠাবান এমন উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা এর আগে জয়পুরহাটবাসী কখনো পায় নাই।তার বিরুদ্ধে অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ জানাই
ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরূদ্ধে জনগনের আরো বেশি বেশি আওয়াজ তোলা উচিত
পুলিশ কর্মকর্তার সর্ব্বোচ্চ বিচারের দাবি জানাচ্ছি
এদেশ থেকে দূর্নীতি যাবে কবে? পুলিশ কর্মকর্তার সর্ব্বোচ্চ বিচারের দাবি জানাচ্ছি