
যায়যায়কাল ডেস্ক: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পক্ষ নিয়ে সামাজিক যোগাযোমাধ্যমের পোস্টে শনিবার কৌঁসুলিদের একহাত নিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
এরপরই দীর্ঘদিন ধরে চলা নেতানিয়াহুর এই দুর্নীতির মামলার শুনানি চলতি সপ্তাহের জন্য বাতিল করেছে আদালত। জেরুজালেমের আদালত রোববার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে আদালতের এই সিদ্ধান্তের পেছনে ট্রাম্পের সমালোচনা বা মন্তব্যের কোনও প্রভাব আছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আদালত জানিয়েছে, নেতানিয়াহু, মোসাদের প্রধান ও সামরিক গোয়েন্দা প্রধান নতুন যেসব কারণ দেখিয়েছেন, তা মামলার শুনানি বাতিলের জন্য যুক্তিসঙ্গত।
২০১৯ সালে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইসরায়েলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘুষগ্রহণ, প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। ২০২০ সালে তিন ফৌজদারি মামলায় তার বিচার শুরু হয়।
নেতানিয়াহুর আইনজীবীরা সম্প্রতি তার জেরার কার্যক্রম কূটনীতিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণ বিবেচনায় দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন; শুক্রবার আদালত ওই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল। সোমবার নেতানিয়াহুর জেরা শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেটি এখন বাতিল হল।
এর আগে শনিবার ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে নেতানিয়াহুর পক্ষে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প লিখেছিলেন, ইসরায়েলের এ বিচারিক প্রক্রিয়া ইরান ও ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে নেতানিয়াহুর আলোচনা চালিয়ে যাওয়া কঠিন করে তুলবে।
ইসরায়েলের সহায়তায় বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করা ওয়াশিংটন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে এমন কর্মকাণ্ড ‘মেনে নেবে না’ বলেও ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন।
সপ্তাহখানেকের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ট্রাম্প ইসরায়েলে নেতানিয়াহুর বিচার নিয়ে তার অসন্তোষের কথা জানান। এর আগে তিনি নেতানিয়াহুর বিচার বাতিল বা তাকে ক্ষমা করে দিতে তেল আবিবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। এবার ইসরায়েলি বিচারিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে মার্কিন সহায়তার প্রসঙ্গও টেনেছেন তিনি।
ওদিকে, দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ও বিচার প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশের আবেদন কয়েকবারই জানানো হয়েছে আদালতে।
গত বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহুর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ইরানের সঙ্গে সঙ্ঘাতের কারণে তিনি ব্যস্ত। তাই জাতীয় নিরাপত্তার কারণে শুনানি স্থগিত রাখা প্রয়োজন। সেই যুক্তি প্রথমে আদালত না শুনলেও পরে শুনানি বাতিলের সিদ্ধান্ত জানাল।