মঙ্গলবার, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

তালার জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপা রাণী সরকার

বি এম বাবলুর রহমান, তালা: সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরসনে করনীয় নির্ধারনে প্রতিদিন বিভিন্ন ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল পরিদর্শন করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের শিরাশুনি, লাউতাড়া, শুভাশিনী, মদনপুর ও নওয়াপাড়া এলাকা পরিদর্শন করেন।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এসকল অঞ্চল পরিদর্শন করেন তিনি।
তেতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম এম আবুল কালাম আজাদ, ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী, মনিরুল ইসলাম, মতিয়ার রহমান, মশিয়ার রহমান, স্থানীয় বিএনপি নেতা আব্দুল গপ্ফার,  জামায়াত  ইসলামীর ইউনিয়ন আমির মাওঃ আব্দুল হালিম, সাংবাদিক সহ  স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ  উপস্থিত ছিলেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় ঘেরমালিক ও ক্ষতিগ্রস্থ জনসাধারণের সাথে কথা বলেন।
ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী, মনিরুল ইসলাম, মতিয়ার রহমান, মশিয়ার রহমান, স্থানীয় বিএনপি নেতা আব্দুল গপ্ফার, স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয়রা বলেন, এই অঞ্চলের ঘেরমালিকরা পানি নামার জন্য নির্মিত কালভার্টের মুখ বন্ধ করে মাছচাষ করছে। যার কারণে মানুষের বাড়িতে পানি উঠে যাচ্ছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই অঞ্চলে জলাবদ্ধতার মূল কারণ বর্ষামৌসুমে উত্তর অঞ্চলের ঢলপানি। প্রতিবছর যশোর জেলার মনিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলার এই অঞ্চলে আসার কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, যশোর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার একাংশ ও সাতক্ষীরার তালা উপজেলা একাংশের পানি ভদ্রা নদী দীয়ে প্রবাহিত হয়। আমাদের এই অঞ্চলের পানি চুকনগর অঞ্চলের নরনিয়া খাল দিয়ে ভদ্রা নদীতে পড়ে। ভদ্রা নদীর তলদেশে পলি জমে সমতল থেকে উঁচু হওয়ার কারণে মনিরামপুর ও কশবপুরের পানি উঠানামা করতে পারে না। তালার এই অংশ অপেক্ষাকৃত নীচু হওয়ায় ঐ অঞ্চলের পানি   এদিকে ঢুকে পড়ে। নরনিয়া খালের প্রায় ১ কিলোমিটার পলি পড়ে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ভদ্রা নদীতে পানি পড়তে পারে না। এই অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হলে ভদ্রা নদী ও নরনিয়া খাল খননের ব্যবস্থা করতে হবে। নরনিয়া স্লুইস গেট থেকে কাশিমপুর পর্যন্ত আপার ভদ্রানদী খনন করা না হলে গত বছরের তুলনায় এবছর আরও অধিক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপা রাণী সরকার বলেন, তালা উপজেলায় জলাবদ্ধতা নিরসনে যা যা করা প্রয়োজন তাই করা হবে। পানি উঠানামা করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘেরমালিকদের নিজ দায়িত্বে কালভার্টের মুখ পরিস্কার করা ও নেটপাটা অপসারণের নির্দেশনা দেন। এসময় ইউপি চেয়ারম্যানগণকে জনগণের সচেততার জন্য এলাকায় মাইকিং করার পরামর্শ প্রদান করেন।
Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ