
খাঁন মো. আ. মজিদ, দিনাজপুর: দিনাজপুর সদর উপজেলার উথরাইল ইউনিয়নের বেঙ্গুনদিঘী এলাকায় শিয়ালের আক্রমণে নারীসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন।
গত বুধবার সন্ধ্যায় বেঙ্গুনদিঘী রায়পুর গ্রাম থেকে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে এ আক্রমণের শিকার হন কয়েকজন।
আহতদের মধ্যে চারজন দিনাজপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ভ্যাক্সিন নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন, তবে গুরুতর আহত হয়ে পূর্ণিমা রায় নামে এক নারী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মানিক রায় জানান, তারা সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়ার পথে হঠাৎ একটি শিয়াল তাদের আক্রমণ করে, এতে তাদের মধ্যে কয়েকজন আহত হন। গুরুতর আহত পূর্ণিমা রায় বলেন, তিনি বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ে একটি শিয়ালের তাড়া খেয়ে ছাগলটি পুকুরে পড়ে গেলে তাকে বাঁচাতে গিয়ে শিয়াল তার ওপর আক্রমণ করে। এতে শিয়াল তার দুই হাতের কনুইয়ের ওপর থেকে মাংস ছিঁড়ে নেয়।
এই আক্রমণের শিকার হয়েছেন মানিক রায়, বকুল রায়, লিটন রায়, ধনঞ্জয় রায়, সঞ্জিত রায়, হৃদয় রায়, অনুপম রায়, সিদ্দিক, আজিজুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন।
দিনাজপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক পারভেজ সোহেল রানা জানিয়েছেন, শিয়ালের কামড় ছাড়াও দিনাজপুরে সাম্প্রতিক সময়ে কুকুর ও বিড়ালের আক্রমণও বেড়েছে। কিছু আক্রমণ এতটাই তীব্র যে, মানুষের কান, পায়ের মাংস এমনকি চোখ ও ঠোঁট পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চিকিৎসক পারভেজ আরও জানান, পশুর আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণত তিনটি ক্যাটাগরিতে চিকিৎসা দেয়া হয়। ক্যাটাগরি-১ এর ক্ষেত্রে ভ্যাক্সিন প্রয়োজন হয় না, ক্যাটাগরি-২ এর জন্য এআরভি ভ্যাক্সিন এবং ক্যাটাগরি-৩ এ এআরভি ও আরআইজি ভ্যাক্সিন দেয়া হয়। তবে বর্তমানে হাসপাতালে এআরভি ভ্যাক্সিন সরবরাহ থাকলেও আরআইজি ভ্যাক্সিনের ঘাটতি রয়েছে।
হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে ৯০-১০০ জন ব্যক্তি কুকুর, বিড়াল ও শিয়ালের আক্রমণের পর চিকিৎসা ও টিকা গ্রহণের জন্য হাসপাতালে আসছেন।