রবিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ধোপাডাঙ্গায় শিক্ষকের ভুয়া নিয়োগ ও সার্টিফিকেট জালিয়াতির সংবাদ প্রকাশ করায় মামলা দায়ের

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের অন্তর্গত ধোপাডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি অবস্থিত। উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক মোঃ খায়ের মাহমুদ হাসান বিশ্বাস এর বিরুদ্ধে এসএসসি পাশের জাল সার্টিফিকেট ও ভুয়া নিয়োগ নিয়োগ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পত্রিকায় প্রকাশ তদন্ত এড়াতে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন অভিযুক্ত।

সরকারের রাজস্ব উদ্ধারসহ দায়ী অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক, বিচারক, সংশ্লিষ্ট আদালত এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী মহল।

জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলাধীন ধোপাডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গত ৭/২/২০১১ ইং তারিখে মোঃ আবুল খায়ের মাহমুদ হাসান বিশ্বাস এসএসসি পাশের জাল সার্টিফিকেট ও ভুয়া নিয়োগ দেখিয়ে ২০২১ সালে এমপিওভুক্ত হয়ে সরকারি বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। অভিযোগের বিষয় দুইটি জানাজানি হলে দৈনিক ভোরের দর্পন পত্রিকার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ শামছুল হক সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুর্নীতিবাজ, সার্টিফিকেট জালিয়াতকারী শিক্ষক মোঃ আবুল খায়ের মাহমুদ হাসান বিশ্বাস চাকুরী ও নিজেকে বাচাঁতে অতি সুকৌশলে গাইবান্ধা বিজ্ঞ আদালতে একটি হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন। যার নং–২৬৫/২৫ ইং।

অন্যদিকে,, অভিযুক্ত শিক্ষকের দাখিলকৃত এসএসসি পাশের সনদের ব্যাপারে কামারপাড়া প্যারীমাধব (পি.এম) বহুমুখী ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক গত ১২/৫/২০২৫ ইং তারিখে এক পত্রে ১৯৯০ সালের ট্যাবুলেশন খতিয়ে দেখে তার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান।

অপরদিকে ধোপাডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি ফজলার রহমান বলেন, আমি ২৫/৮/২০১০ ইং তারিখ হতে ২৪/০২/২০১১ ইং পযর্ন্ত দায়িত্ব চলাকালিন মোঃ আবুল খায়ের মাহমুদ হাসান বিশ্বাস নামে কোন শিক্ষক নিয়োগ দেইনি।এ ছাড়াও তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান আকন্দ গত ৮/৭/২০২৫ ইং তারিখের এক পত্রে জানান যে,আমি গত ১৪/২/২০১১ ইং সাল হতে ১৫/২/২০১৮ ইং পর্যন্ত দায়িত্বে থাকাকালীন মোঃ আবুল খায়ের মাহমুদ হাসান বিশ্বাস নামে কোন সহকারী শিক্ষককে দেখিনি এমন কি শিক্ষক হাজিরা খাতায় তার নাম, স্বাক্ষর নেই বলে জানান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মোঃ আবুল খায়ের মাহামুদ হাসান বিশ্বাসের সাথে বিদ্যালয়ে সাক্ষাৎ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কাউকে কোন তথ্য দিতে বাধ্য নই। আর কোন তথ্যও দিব না বলে জানান।

সচেতন এলাকাবাসী সরকারী অর্থ লোপাটকারী সহকারী শিক্ষক মোঃ আবুল খায়ের মাহমুদ হাসান বিশ্বাসের জাল সনদ ও ভুয়া নিয়োগের বিষয়টি খতিয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক, গাইবান্ধা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ