
আর এ লায়ন সরকার, নরসিংদী: নরসিংদী পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের কামারগাঁও গ্রামে এক বৃদ্ধার ৩.৭৫ শতাংশ জমি দখলের চেষ্টা ও সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জবরদখল ও প্রাচীর ভাংচুরের খবর শুনে বাধা দিতে গিয়ে প্রতিপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের ভয়ভীতির প্রদর্শনের কারণে জমির মালিক আব্দুল হাসিম।(৭০)। জমিতে যেতে পারছেন না আব্দুল হাসিম মিয়ার পরিবারে কোন লোকজন,উক্ত জমিতে গাছপালা ঘরবাড়ি করতে প্রস্তুতি নিলে বিপক্ষের মোহাম্মদ সুলতান মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র অস্ত্র নিয়ে বের হয়ে তাদেরকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বলে আব্দুল হাশেম মিয়া জানান।
এ জমি নিয়ে বহু বিচার আচার সালিশি হয়েছে প্রথমে সাবেক কাউন্সিলর আইনুদ্দিন, বর্তমান কাউন্সিলর খাইরুল ইসলাম, সাবেক মেয়র কামরুজ্জামান, নরসিংদী জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম নেওয়া সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বহু বিচারে আব্দুল হাসিম মিয়ার পক্ষে কাগজপত্র দেখে রায় দেন।
মোঃ সুলতান মিয়ার পরিবারের ভয়ে আতঙ্কে নরসিংদী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলেও জানান আব্দুল হাসিম মিয়ার পরিবার। ০৫/১০/১৬ নরসিংদী পৌরসভায় মোহাম্মদ আব্দুল হাসিম মিয়া বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। তখন পৌর মেয়র ছিলেন আলহাজ্ব মোহাম্মদ কামরুজ্জামান কামরুল,মোহাম্মদ আলমাস মিয়া প্যানেল মেয়র ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জনাব মোঃ রুকুনুজ্জামান ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর, জনাব মোছাঃ হেলেনা বেগম, ৭,৮,৯ সংরক্ষিত কাউন্সিলর ইয়াসমিন সুলতানা, ৪,৫,৬ নং কাউন্সিলর সকলের উপস্থিতিতে আর এস ১৬৮৮১নং দাগে ৩.৩১শতাংশ জমির দখলে আছে বলে এই মরর্মে আদেশ দেন সরকারি ভূমি কমিশনার নরসিংদী। নরসিংদী পৌরসভার সালিশি বৈঠকে বাদী আব্দুল হাসিম মিয়ার পক্ষে রায় দেন।
পৌর রায়ে উল্লেখ থাকে যে বিবাদী মোঃ সুলতান মিয়া যদি কোন রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ও পৌর বিরোধ মীমাংসা বোর্ড যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা অমান্য করে তাহলে বাদী আব্দুল হাশেম মিয়া আদালতে আশ্রয় নিতে পারবেন বলে সালিশে রায় দেন। প্রথমে পৌর আদালতের রায় অমান্য করেন, মোহাম্মদ সুলতান মিয়া, পরে একাধিকবার আদালতের রায়কে অমান্য করে এ সরকারি কর্মকর্তা। জোরপূর্বক আব্দুল হাসিম মিয়ার সীমানার ভিতরে ঢুকে বহুতল ভবনের ভীম করার জন্য মাটি কাটে।
জোরপূর্বক জমি দখল করার প্রতিবাদ করতে গেলে মোঃ সুলতান মিয়া বিভিন্ন মামলায় আব্দুল হাসিম মিয়ার পরিবারকে ফাঁসিয়ে দেওয়ারও নানা হুমকি দিয়ে আসছেন। ইতিপূর্বে মিথ্যা অভিযোগ করার অভিযোগ রয়েছে সুলতান মিয়ার,ব্যপারে এলাকাবাসীর উক্ত ব্যপারে জানতে চাইলে এলাকা বাসী জানান এ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে অনেক সালিশি দরবার হয়েছে, আদালতে মামলা হয়েছে তবুও নিষ্পাপ্তি হচ্ছে না উক্ত জমির বিরুদ্ধে।
আব্দুল হাসিম মিয়ার পরিবার ভূমিদস্যু সরকারি কর্মকর্তা সুলতান মিয়ার হাত থেকে তাদের জমি বেদখল হতে রক্ষা চান, জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপার সহ আইন প্রশাসনের সর্বাধিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। এ বিষয়টি নিয়ে মোহাম্মদ সুলতান মিয়ার সাথে মুঠো ফোনে জমি দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান এ জমি তিনি কিনেছেন কিছু অংশ আব্দুল হাসিম মিয়ার সীমানায় ঢুকে গিয়েছে আমি প্রয়োজনে নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নিব। তবে যে জমিতে মোঃ সুলতান মিয়া ইমারত নির্মাণ করার জন্য নির্মাণ সামগ্রী রেখেছেন এই জমির উপরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলেও জানা যায়।
যায়যায়কাল/২৬আগস্ট২০২২/কেএম