
আতিকুর রহমান, কুড়িগ্রাম উত্তর : নাগেশ্বরীতে এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে রোববার নাগেশ্বরী থানায় এজাহার দায়ের করেছেন ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা।
ধর্ষণের শিকার কিশোরী উপজেলার একটি স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং অভিযুক্ত আল মামুন (১৮) চাকেরকুটি এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
এজাহারের বিবরণে জানা যায়, উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নের চাকেরকুটি এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে আল মামুন (১৮) ওই কিশোরীকে স্কুলে যাওয়া-আসার সময় প্রতিনয়ত রাস্তাঘাটে উত্যক্ত করে আসছিলো। এতে করে ওই কিশোরী ও তার বাবা একাধিকবার আল মামুনকে ও তার নানা আফজাল হোসেনকে জানিয়ে সতর্ক করলেও কোনো প্রতিকার হয়নি। উল্টো ওই যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময় ক্ষতি করার সুযোগ খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে গেলো ১৫ আগস্ট দুপুরে ওই কিশোরী পুকুরে গোসল করতে গেলে সুযোগ বুঝে আল মামুন নিজেও গোসল করার ভান করে পুকুরে নেমে কিশোরীর মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় ওই কিশোরীর আর্ত চিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ওই ধর্ষক দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
কিশোরীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে একজন শারিরীক প্রতিবন্ধী। অথচ এই প্রতিবন্ধী মেয়েটাকে নষ্ট করলো একটা বখাটে ছেলে। আমি এই ধর্ষণের উপযুক্ত বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আল মামুন ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করলেও পাওয়া যায়নি।
নাগেশ্বরী থানার ওসি (তদন্ত) সারওয়ার পারভেজ বলেন, এ বিষয়ে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। ধর্ষণ হয়েছে কি না এটা পরীক্ষা করার জন্য ভিকটিমকে কুড়িগ্রামে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।