
দিনাজপুর প্রতিনিধি: জন্মগতভাবেই প্রতিটি মানুষ একটি করে ইতিহাস পৃথিবীতে তৈরি করে যায়। বড় বড় দার্শনিক, কবি, সাহিত্যিক ও বিজ্ঞানীদের জীবনী পড়লে তাদের সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়। মানুষ ছোট থেকেই বড় হয়। আমাদের এই জগৎ সংসারে যেমন অসাধারণ কন্ঠের অধিকারী হয়ে জন্মেছিলেন খাঁন মো. আ. মজিদ।
জীবনের শুরুটা তার অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে সাংবাদিকতা পেশায় হাতে কলম তুলে নেন। অনেক নামী দামী পত্রিকার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে কাজ করার সৌভাগ্য জুটেছিল তার। যশোর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বাংলালোক, সাপ্তাহিক স্মৃতি, দৈনিক ইস্পলিঙ্গ, দৈনিক পূরবী। ঢাকা থেকে প্রকাশিত খাস খবর নিউজ মিডিয়া , সাপ্তাহিক হক আওয়াজ, সাপ্তাহিক অন্যায়ের প্রতিবাদ, দৈনিক ভোরের পাতা, দৈনিক বাংলার দূত, দৈনিক বঙ্গ জননী, দৈনিক জয় বাংলা, দৈনিক একুশের সংবাদ, ডেইলি আর্থ, দৈনিক সন্ধানী বার্তা, দৈনিক স্বাধীন দেশ, দৈনিক স্বাধীন সংবাদ, দৈনিক গণজাগরণ, দৈনিক বিশ্ব মানচিত্র, দৈনিক যায়যায়কাল, দৈনিক নতুন আশা, দৈনিক নতুন দিন, The Daily Present Time, দৈনিক সবুজ নিশান।
দিনাজপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক মানব বার্তা, দৈনিক উত্তরবঙ্গ দিনাজপুর২৪.কম। ফরিদপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক কুমার, দৈনিক সূর্যের কিরণ। বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক চাঁদনি বাজার, দৈনিক মুক্ত সকাল, যশোর, দিনাজপুর, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে বস্তুনিষ্ঠ ও সততার সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে অদ্যাবধি জড়িত।
তাঁর ঈর্ষণীয় সংবাদ পরিবেশনের জন্য ও প্রতিবাদী লেখনীর কারণে একটি কুচক্রি মহল দীর্ঘদিন যাবত তার কাজের সমালোচনা করে তাকে আরও দৃঢ় ও প্রতিবাদী হতে সাহস জুগিয়েছে। অনেক সিনিয়র সাংবাদিকদের সহযোগিতায় তার চলার পথ কেউ রুদ্ধ করতে পারেনি। কিন্তু কুচক্রী মহল এখনও তার পিছু ছাড়েনি। নানা মিথ্যা অপবাদ, অপপ্রচার, অসংলগ্ন লেখনীর মাধ্যমে তাকে কলুষিত করার চেষ্টা সর্বদাই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
খাঁন মো. আ. মজিদ মূলত একজন বাউল শিল্পী হিসেবেই সমাজে সুপরিচিত।
তার বিভিন্ন স্থানে সংগীত পরিবেশনের তালিকা: সর্বপ্রথম পাবনা ঈশ্বরদী ললিতকলা একাডেমীর পক্ষ থেকে বাসস্ট্যান্ড মঞ্চে বিভিন্ন স্কুল/কলেজ/মাঠে ময়দানে সংগীত পরিবেশন করেছেন। যশোর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, গরিব শাহ রোড, মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক শিল্পগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে মুক্তির মঞ্চে ও খাজুরা ট্রাকস্ট্যান্ড মালিক সমিতি এবং দড়াটানা সদর উন্মুক্ত মঞ্চে ১৯৯৫ সালে যশোর শিল্পী গোষ্ঠী একাডেমি, যশোর উদিচী শিল্পী গোষ্ঠী, যশোর সৃজনী সাংস্কৃতিক শিল্পীগোষ্ঠী এবং যশোর শিল্পীগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে সংগীত পরিবেশন করেছেন।
সেতাবগঞ্জ বাউল সংগীত একাডেমীর পক্ষ থেকে ২০০৩ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিভিন্ন মাঠে-ময়দানে সংগীত পরিবেশন করেছেন। ঠাকুরগাঁও স্টেশনে সংগীত পরিবেশ করেছেন। দিনাজপুর রেলস্টেশন চত্বরে রেল শ্রমিকের পক্ষ থেকে ১৯৯৬ সালে সংগীত পরিবেশন করেছেন এবং দেশের বিভিন্ন জেলা/উপজেলা/ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে সংগীত পরিবেশন করেছেন। দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের দর্শক শ্রোতাদের খাঁন মো. আ. মজিদের গান শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। তার কণ্ঠের যাদু লক্ষ মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
ভালোবাসার কাঙাল এ শিল্পী প্রকৃত ভালোবাসা আর মূল্যায়ন পায়নি বলেই এই প্রতিভাধর শিল্পী সমাজে আজ অবহেলিত। ভালোবাসার বেড়া জালে মানুষের কল্যাণের জন্য মহৎ সাংবাদিকতা পেশায় জড়িয়ে সমাজের অবহেলিত ও লাঞ্চিত মানুষের জন্য যখন কিছু করতে চায়, তখনই পিছন দিক হতে এক শ্রেণির কুচক্রি মহল তার পিঠে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করছে। আমরা তার দীর্ঘায়ু ও ক্ষুরধার লেখনীর কিছুতেই অপমৃত্যু হতে দেব না।
যশোর স্পন্ধন সাংস্কৃতিক শিল্পগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে টাউন হল মাঠ মুক্ত মঞ্চে বেশ কয়েকবার সংগীত পরিবেশন করেছেন। যশোর শিল্পগোষ্ঠির পড়া থেকে বিডি হল মিলনায়তনে বেশ কয়েকবার সংগীত পরিবেশন করেছেন। প্রফুল্ল-সঙ্গীত নিকেতন এর পক্ষ থেকে সংগীত পরিবেশন করেছেন। তীর্যক সাংস্কৃতিক শিল্পগোষ্ঠির পক্ষ থেকে টাউন হল মাঠ বাউল উৎসবে বেশ কয়েকবার গান পরিবেশন করেছেন। সুর বিতান একাডেমীর পক্ষ থেকে টাউন হল মাঠে গান পরিবেশন করেছেন এবং যশোর সরকারি শিল্পী গোষ্ঠী একাডেমীর পক্ষ থেকে টাউন হল মাঠ মুক্ত মঞ্চে বেশ কয়েকবার গান পরিবেশন করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা সৃজনী সাংস্কৃতিক শিল্পগোষ্ঠির পক্ষ থেকে ১৯৯৬ সালে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ মাঠে ময়দানে গান পরিবেশন করেছেন। কুষ্টিয়া জেলা লালন মঞ্চে দুই দুইবার গান পরিবেশন করেছেন। কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরি মঞ্চে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন। রাজবাড়ী জেলা পৌরসভা পক্ষ থেকে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন।
বগুড়া জেলার শান্তাহার রেল গেট সংলগ্ন সাংস্কৃতিক শিল্পী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে সংগীত পরিবেশন করেছেন। বগুড়া সদর খাজা আব্দুস সাত্তার একাডেমীর পক্ষ থেকে বিডি হল মিলনায়তনে সাতমাথা বিভাগ আন্দোলনে খোকন পার্কে সংগীত পরিবেশন ও একটি অডিও ক্যাসেট বের হয়। মাধবীয় ও অডিও ক্যাসেট ঘর থেকে ক্যাসেটটির নাম নয়নের জলে পুনরায় বেশ কয়েকবার সংগীত পরিবেশন করেছেন।
প্রথম বইয়ের নাম দেশের গান, নিশি রাতে ঘাতকের আঘাতে সন্ত্রাসী রাজাকারের নির্যাতনে, প্রেম বিচ্ছেদ, সংসার জ্বালা বড় জ্বালা, লোকগীতি, রূপনগরে যাবি যদি আয়, পল্লীগীতি, ভবের হাটের লীলাখেলা, বাউল গান, যশোরের বাদশা তুমি হযরত গরিব শাহ্ (রহঃ) আউলিয়া।
দিনাজপুরের ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্মরণিকা ছন্দমালা বিশেষ সংখ্যা শুধুমাত্র সরকারি দিবসে প্রকাশিত হয়। বগুড়া জেলার বোনার পাড়া রেলস্টেশন প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক সংগীত পরিবেশন করেছেন। গাইবান্ধা বল খেলা স্টেডিয়ামে সাংস্কৃতিক সংগীত পরিবেশন করেছেন। রংপুর জেলার কাউনিয়া রেলস্টেশনের মঞ্চে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন। রংপুর ওরিয়েন্ট সিনেমা হলের সামনে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন।