বুধবার, ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে কর্মসূচি

প্লাস্টিক দূষণ রোধে মানববন্ধন ও গাছ বিতরণ

আব্দুর রহমান, সাতক্ষীরা: বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ‘প্লাস্টিক দূষণের অবসান’-এই প্রতিপাদ্যে বৃহস্পতিবার সকালে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

এ্যানভায়রনমেন্ট প্রোটেকশন ফোরাম (ইপিএফ), এএলআরডি এবং স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা স্বদেশসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন ও তরুণদের অংশগ্রহণে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন শেষে পরিবেশবান্ধব গাছের চারা বিতরণ করা হয়। ইপিএফ সভাপতি মাধব চন্দ্র দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সাংবাদিক ফারুক রহমান, হেড সংস্থার পরিচালক লুইস রানা গাইন, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জী, ক্রিসেন্টের আবুজাফর সিদ্দিকী, সিডোর শ্যামল বিশ্বাস, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নেত্রী জ্যোৎস্না দত্ত, আনজুয়ারা মিলি, নারী নেত্রী সালেকাহ কেয়া, রুপা বসু, ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিরা।

বক্তারা বলেন, প্রতিদিন দেশে প্রায় ৮ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে। যার একটি বড় অংশ নদী ও সাগরে গিয়ে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এসব বর্জ্য মাইক্রোপ্লাস্টিকে রূপান্তরিত হয়ে মাছের শরীরে ও পরোক্ষভাবে মানুষের খাদ্যচক্রে প্রবেশ করছে।

তারা বলেন, প্লাস্টিক বর্তমানে প্রয়োজনীয় হলেও এর অতি ব্যবহারের কারণে পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশ্বে প্রতিবছর উৎপাদিত ৪৩০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্যের মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই সাগরে জমা হয়।

বক্তারা জানান, ২০০২ সালে বাংলাদেশ পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধকারী বিশ্বের প্রথম দেশ হলেও, সে আইন কার্যকর না হওয়ায় দূষণ রোধে তেমন অগ্রগতি হয়নি। তবে ২০২৪ সালে সরকার পলিথিন নিয়ন্ত্রণে আইনটি পুনরায় কার্যকর করেছে, যা বাস্তবায়নের জন্য সকল পক্ষকে একযোগে কাজ করতে হবে।

মানববন্ধন থেকে কয়েকটি দাবি উত্থাপন করা হয়:

পলিথিন নিষিদ্ধকরণ আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন

একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের উৎপাদন ও বিপণন নিয়ন্ত্রণ

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জোরদার করা এবং সচেতনতা বাড়ানো

পরিবেশবান্ধব বিকল্প (পাট, কাপড়, বাঁশ ইত্যাদি) ব্যাগ ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান

মিডিয়ায় প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে নিয়মিত প্রচার ও গণসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা

বক্তারা গৃহস্থালি পর্যায়ে বর্জ্য পৃথক করার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং স্থানীয় সরকার ও পৌর কর্তৃপক্ষের সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ