
বিশেষ প্রতিনিধি: লিবিয়ায় কাজ করতে গিয়ে মৃত্যুর দুই মাস ২৫ দিন পর নামজুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবকের লাশ পেয়েছেন তার স্বজনরা।
শুক্রবার সকালে একটি লাশবাহী গাড়ি তার মরদেহ নিজ বাড়ি সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের বেতুয়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামে পৌঁছে দেয়। তিনি ওই এলাকার ব্যবসায়ী লোকমান হোসেনের ছেলে। মরদেহটি পাওয়ার পর সকাল ১১ টার দিকে তার নামাজে জানাজা শেষে এলাকার একটি পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
পরিবারের স্বজনরা জানান, লিবিয়ায় কাজ করতে গিয়ে ঘরের ভিতর গ্যাস সিলিন্ডার দগ্ধ হয়ে তিনি ২ মাস ২৫ দিন পূর্বে (গত ২০ জুন) মারা যান। বৈধ কগজপত্র না থাকায় তার মরদেহটি আসতে দেরি হয়। পরে পরিবারের লোকজন মরদেহটি দেশে আনতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাত ২ টার দিকে দেশে নিহত প্রবাসীর মরদেহ আসে।
বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাজমুলের বাড়িতে স্ত্রী, আড়াই বছরের পুত্র সন্তানসহ বৃদ্ধ বাবা ও মা রয়েছে। প্রায় ৩ বছর আগে চার লাখ টাকা খরচ করে জীবিকার তাগিদে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। লিবিয়ায় কাজ শুরু করার পর হঠাৎ ঘরের ভিতর গ্যাস সিলিন্ডার দগ্ধ হয়ে তিনি মারা যান।
অন্যদিকে, কর্মরত থাকা বিদেশি কোম্পানিটির পক্ষ থেকে কোনও ক্ষতিপূরণ পাবে না বলেও পরিবারকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নাজমুল ইসলামের বোন মোছা. সুমা খাতুন বলেন, মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে পুরো পরিবারের শোকের মাতম চলছে। লাশ না পাওয়াতে শোক বেড়ে আরও দ্বিগুণ হয়েছিল। শত বাধা বিপত্তি আর অক্লান্ত পরিশ্রম করে লাশ দেশে আনতে পেরেছি। ভাইকে দাফন করেছি কবরস্থানে। আর কিছু চাওয়ার নেই।
রায়গঞ্জ থানার ওসি কেএম মাসুদ রানা বলেন, রায়গঞ্জের যুবক বিদেশে মারা যাওয়ার ঘটনায় লাশ দেশে এসেছে কি-না তা জানা নেই। বিদেশে কেউ মারা গেলে লাশ আনতে অনেক সময় লাগে।