
মো. আফ্ফান হোসাইন আজমীর, রংপুর : রংপুর নগরীর কোতয়ালি থানাধীন লাকিপাড়ায় বোনের কাছে জমি কিনেও দখল পাচ্ছে না ভাই।
অভিযোগ উঠেছে, চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ করে দলিল করে দেয়ার পরও বোন রোকসানা বেগমের দাবিকৃত অতিরিক্ত ১০ লাখ চাঁদা না দেয়ায় দখল পাচ্ছে না আপন ভাই তানভীর আহমেদ মিঠু।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নগরীর কোতয়ালি থানাধীন ভগিবালাপাড়া মৌজাস্থ বোন রোকসানা ও বোনজামাই শাহজাহান এর কাছে থেকে ৬৭৭৪ নম্বর দলিলমূলে দেড় শতক জমি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কেনেন তানভীর মাহমুদ মিঠু। প্রাথমিক বায়নাপত্রে জমিসহ বাড়ি উল্লেখ থাকলেও জমি রেজিস্ট্রির সময় সুকৌশলে দলিলে শুধু জমির কথা উল্লেখ করে রেজিস্ট্রি করা হয়।
এরপর জমি দখল না দিয়ে বলা হয়, ‘তোমার কাছে জমি বিক্রি করলেও বাড়ি বিক্রি করি নাই’ – বাড়িতে উঠতে রোকসানা আরো ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ক্রয়কৃত বাড়িটির গেটে ৫টি তালা লাগিয়ে দেয়। নিজের সারাজীবনের উপার্জনের টাকা কেনা সম্পত্তি বেদখল। উদ্ধারের আশায় জনপ্রতিনিধি আর আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মিঠু।
অপরদিকে পেশাগত কাজে বিদেশে থাকার সুযোগ নিয়ে ১৯৯৮ সালে ২৮৫৪ নম্বর দলিলমূলে রোকসানা বেগমের কাছে দানপত্রে প্রাপ্ত দুই শতক জমিও দখল করে নিয়েছে নূর ইসলাম ও তার মেয়ে নাসরিন আক্তার লাভলি এবং অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক শহীদুল আলম।
এ বিষয়ে তানভির আহমেদ মিঠু জানান, আমার সারাজীবনের উপার্জনের অর্থ দিয়ে জমিটুকু কিনেছিলাম। আজ আমার নিজের বোন আর ভাগনি জমি দখল করে নিয়েছে। দলিলে দানপত্রের কথা উল্লেখ থাকলেও দুই শতক জমিও আমি ন্যায্যমূল্যে কিনেছিলাম বোনের কাছে। আমার পরিশ্রমের অর্থে কেনা সাড়ে তিন শতক জমি আমি ফেরত চাই। আমি অসহায়। কাউন্সিলরের কাছে গেছি, মেয়রের কাছে গেছি। কেউ আমাকে সহযোগিতা করে নাই। সরকার পরিবর্তনে সবাই ন্যায় বিচার পাচ্ছে। আমিও সঠিক বিচার চাই।
রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল গফফার জানান, জমির বিচার নিয়ে এর আগে মিঠু আমার কাছে এসেছিলো। দুই পক্ষকে নিয়ে বসার কথা ছিলো। পরে আর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।