
নুরুল আমিন, ভুরুঙ্গামারী( কুড়িগ্রাম): কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় সরিষার মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের ছোটখাটামারী বকুলতলী গ্রামের সরিষা চাষি নাজমুল ইসলামের বাড়িতে প্রায় শতাধিক কৃষক-কৃষাণীর উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
কৃষিবিদ মোঃ আঃ জব্বার সাহেব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষিবিদ জনাব মোঃ ডঃ মামুনুর রহমান জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার, খামারবাড়ি, কুড়িগ্রাম।
কৃষিবিদ মোঃ শামসুজ্জামান জেলা বীজ প্রত্যায়ন অফিসার কুড়িগ্রাম। কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম মনিটরিং অফিসার তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চল, রংপুর। ছোটখাটোমারী ব্লকের সংশ্লিষ্ট এএসএও(Asao) শহিদুল ইসলাম, ছোটখাটামারী নম্বরে ০১ওয়াড ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী ও প্রাক্তন ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ওসমান গনি এবং মানবিক সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী এসএম নুরুল আমিনসহ অনেকেই এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বারি সরিষা -১৪ প্রদর্শনীতে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকদের স্বল্প সময়ে অধিক ফলন পেতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে এবং কৃষি প্রণোদনায় সার ও বীজ সঠিক সময়ে সরবরাহ করা হয়েছে, ফলে কৃষকদের কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। উৎপাদন ও দামে কৃষকরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
কৃষিবিদ জনাব আব্দুল জব্বার সাহেব উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, বাজারের প্রচলিত ভেজাল সয়াবিন তেল না খেয়ে কৃষকরা যদি নিজ উদ্যোগে সরিষার উৎপাদন করে সরিষার তেল খায় তাহলে দেশ পরনির্ভরশীলতা থেকে রক্ষা পাবে। বিদেশ থেকে আর ভেজাল সয়াবিন তেল আমদানি করতে হবে না। দেশীয় সরিষার তেল খেলে শরীর ও খাদ্যমান ও পুষ্টিগুণ ভালো থাকে । রোগ বালাই অনেক কম হয়।যে জমিতে সরিষার চাষ করা হয় সেই জমিতে প্রচুর পরিমাণ সবুজ জৈব সার তৈরি হয় ফলে ঐ জমিতে রাসায়নিক সার খুব কম লাগে।