
হাসান ভূঁইয়া, মাধবপুর(হবিগঞ্জ): হবিগঞ্জের মাধবপুরে কবরস্থানের সীমানা বিরোধের জেরে সালিশ বৈঠকে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ফারুক মিয়া (৪০) নামে একজন প্রবাসী নিহত হয়েছেন । এ ঘটনায় একই সঙ্গে তার ভাতিজা রবি মিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের দলগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফারুক মিয়া দলগাঁও গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিহতের ভাতিজা রবি মিয়াকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রবি মিয়া ওই গ্রামের আনোয়ার আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে সীমানা ঘেঁষে নিহত ফারুক মিয়ার জমিতে দু’টি গাছ লাগানো হয়। গাছ দু’টির মালিকানা নিয়ে অপরপক্ষ হামিদ মিয়া ও সামাদ মিয়াদের পরিবারের মধ্যে কিছুদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। নিহত কাতার প্রবাসী ফারুক মিয়া নিজ জমিতে রোপিত গাছ কাটতে গেলে একই গ্রামের বাসিন্দা হামিদ মিয়া গাছ কাটতে বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিলে স্থানীয় মেম্বার ও কয়েকজন মুরুব্বী বিষয়টি মীমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে সোমবার মাগরিবের নামাজের পর গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে বসে। সালিশের এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়।
এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন ফারুক মিয়া ও তার খালাতো ভাইয়ের ছেলে রবি মিয়াকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। স্বজনরা মুমূর্ষু অবস্থায় ফারুক মিয়া ও রবি মিয়াকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তারেক উজ জামান, ফারুক মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত অবস্থায় রবি মিয়াকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত ফারুক মিয়ার স্ত্রী বলেন, কাতার থেকে ৬ বছর পর ১৫ দিন আগে ৫ মাসের ছুটিতে আমার স্বামী বাড়ি এসেছেন। তিন সন্তানের মধ্যে একজন তার বাবাকে দেখতে বা চিনতেই পারেনি এখনও। তারা আমার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এই কথা বলতে বলতে কান্নায় হাসপাতালের মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
মাধবপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।