শুক্রবার, ১৩ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রাজশাহীতে জানালা ভেঙে টিসিবির মালামাল লুট, পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহীর বাঘায় ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউনের জানালা ভেঙে টিসিবির মালামাল লুট করা-সহ একজন পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে দুধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ ও এক’ই ইউনিয়নের দিঘা আঠালিয়া পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বুধবার সকালে টিসিবির ডিলার মেসার্স বিল্পব এন্টারপ্রাইজের স্বতাধিকারি আবু তালেব স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বাউসা ইউনিয়নে উপকারভোগী রয়েছে ১ হাজার ৩১১ জন। এদের নামীয় বরাদ্দের মালামাল ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউনে রাখা ছিল। এরমধ্যে ঈদের আগের দিন ৮৬২ জনকে তাদের মালামাল দেওয়া হয়েছে। বাঁকি ৪৫৯ জনকে বুধবার দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকালে এসে টিসিবি ডিলার দেখেন গোডাউনের জানালা ভেঙ্গে মালামাল চুরি হয়ে গেছে। মালামালের মধ্যে ছিল ৪৫৯ কেজি চিনি, ৪২৫ কেজি ডাল ও ১৮৯ বোতল সয়াবিন তেল।

এ বিষয়ে বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ পাহারাদার গ্রাম পুলিশ জামাল উদ্দিন বলেন, আমরা কয়েকজন পালাক্রমে ইউনিয়ন পরিষদ পাহারা দিয়ে থাকি। কখন কিভাবে গোডাউনের রাখা মালামাল চুরি হয়েছে, তা বুঝতে পারিনি। বুধবার সকালে গোডাউন খোলার পরে চুরির বিষয়টি জানা গেছে।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার বলেন, টিসিবির মালামাল লুট হওয়ার ঘটনা মৌখিকভাবে জানতে পেরেছি। আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিলারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে পুলিশের সহায়তা নিবেন।

এ প্রসঙ্গে টিসিবির ডিলার আবু তালেব সরকার বলেন, আমাকে ফাঁসানোর জন্য কোন একটি মহল এই কান্ড করেছে। প্রশাসনের কাছে দাবি, তদন্ত পূর্বক অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থার করা হউক। তিনি এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানান। পুলিশের ভাষ্য অভিযোগ করলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিবেন।

এদিকে একই রাতে বাউসা ইউনিয়নের দিঘা আঠালিয়া পাড়া গ্রামে একজন সহকারি উপ-পরিদর্শক (এ.এস.আই) আশরাফুল আসেকিন রিপনের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। আশরাফুল আসেকিন রিপন মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি এই মুহুর্তে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী সারদহ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত আছেন। তার স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম স্থানীয় দিঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিকিক্ষা। তার বাড়ি থেকে হাতের দুটি স্বর্ণের বালা, একটি স্বর্ণের চেইন ও নকেট এবং এক জোড়া রুপার তোড়া-সহ প্রায় ২০ হাজার টাকা নগদ অর্থ চুরি হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। তাঁর ধারনা, চুরির সময় ঘরে কোন কেমিক্যাল (ঔষধ) ছিটানো হয়েছিল। এ কারনে ওয়ার ড্রপের সমস্ত কাপড় এলোমেলো করার পরেও তাঁর ঘুম ভাঙ্গেনি এবং তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেননি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ