
আবুল হাশেম, রাজশাহী: রাজশাহীর পবা উপজেলায় পুকুর ভরাট করে প্লট তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে। পুকুর ভরাট করে প্লট করা হবে বলে সরজমিনে গিয়ে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন। কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন বালিয়া মোড় স্যানপুকুর সংলগ্ন এলাকায় ঘটছে এমন ঘটনা।
এতে করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। জরুরী ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যেই পুকুর ভরাট বন্ধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার জমির টপলেস মাটি কেটে বহন করার ফলে পাকা রাস্তাটি মাটির রাস্তায় রুপ নিয়েছে। তারা বলছেন প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে অবৈধ ভাবে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে।
এসব বিষয়ে প্রশাসনের উদাসিনতাকেই দায়ি করছেন স্থানীয় জনসাধারণ।
পুকুর ভরাটের দায়িত্বে থাকা মিলন ও বাবু বলেন,
আমরা পুকুর মালিক হানিফ ও কয়েকজন পার্টনারের কাছে থেকে পুকুর ভরাটের দায়িত্ব নিয়েছি। আমরা সবাইকে ম্যানেজ করে কাজ করছি সন্ধ্যায় কাশিয়াডাঙ্গা চেম্বারে দেখা করেন।
প্লট বিক্রেতা হানিফ বলেন, বালিয়া এলাকার জাদু ড্রাইভারদের ওয়ারিশদের কাছে থেকে দেড় বিঘা জমি বাঁশঝার হিসেবে কিনেছি সরেজমিন পুকুর হয়ে আছে তাই ভরাট করে প্লট হিসেবে বিক্রি করবো এভাবেই জমি কিনে সবাই বাড়ি করে কোন সমস্যা নাই।
কোন দপ্তর থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সেটা আমাদের বিষয়, আপনি নিউজ করার করেন। কারো ক্ষমতা নেই বন্ধ করার, থানা, ইউএনওকে ম্যানেজ করা আছে বলে প্রচুর দম্ভক্তি প্রকাশ করেন তিনি।
সরেজমিনে মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, বালিয়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় দের বিঘাসহ মোট সারে ৪ বিঘার পুকুরে মাটি ভরাট কাজ চলছে। মাটি টেনে সমান করার গাড়ি কাজ করছে।গাড়ির ড্রাইভার বলেন টি আলম নামে ব্যক্তি আমাকে এনেছে তার কথামতো আমি কাজ করছি এর বেশি কিছু বলতে পারব না।
স্থানীয়রা জানান, আশেপাশে আমরা আবাদ ফসল করি আমরা এই পুকুরের পানি দীর্ঘদিন ব্যবহার করে আসছি। পুকুর ভরাটের কারণে কারনে খা খা অবস্থা বিরাজ করবে আশপাশের এলাকা। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। এমনকি হেরো ট্যাক্টরে করে মাটি বহনের কারনে পাকা রাস্তা চরম ঝুকিপূর্ন হয়ে পড়েছে। জমির ফসল নষ্ট করেছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য দ্রুত একাজ বন্ধ করা উচিৎ।
পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) মোঃ জাহিদ হাসান জানান, পরিবেশের ক্ষতি করে পুকুর ভরাটের কোন সুযোগ নেই। লোকেসনসহ যাবতীয় তথ্য দিয়ে দেন দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতারের মুঠোফোনে ফোন দিলে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।