রবিবার, ১৫ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২৯শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রাজশাহী চারঘাটে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে সংখ্যালঘুর ওষুধের দোকানে তালা

আবুল হাশেম, রাজশাহী:  চারঘাটে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে সংখ্যালঘুর ওষুধের দোকানে তালা।
রাজশাহীর চারঘাটে বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচন কেন্দ্র করে চলমান দু পক্ষের দ্বন্দ্বের জের ধরে পলাশ সরকার নামে একজন গ্রাম্য চিকিৎসকের দোকানে তালা দিয়েছেন এক গ্রুপ। গত ২৭ জানুয়ারি সকালের দিকে তালা দেওয়ার পর থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও দোকানের তালা খোলাতে পারেননি তিনি। এতে দোকানে থাকা বিভিন্ন ওষুধ নষ্ট হয়ে ক্ষতির আশংকা করছেন তিনি।
জানা যায়, সভাপতি নির্বাচন কেন্দ্র করে চারঘাটের পাটিয়াকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম জাকারিয়াকে বিদ্যালয়ে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন সভাপতি পদপ্রার্থী ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে স্থায়ীয় কিছু ব্যাক্তি। প্রধান শিক্ষক দশদিন ছুটি কাটানোর পর গত ২৭ জানুয়ারি তার স্বজনদের সাথে নিয়ে বিদ্যালয়ে যান। সেসময় জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে স্থানীয়রা তার উপরে হামলা চালায়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ছয় জন আহত হয়।
দু পক্ষের সংঘর্ষের সময় রাশিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীরের নেতৃত্ব তার চাচা ওয়ার্ড আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন ও ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা নবাব হাসানের নেতৃত্ব কয়েকজন গিয়ে পলাশ সরকারের ওষুধের দোকানে তালা দেয়। বাজারের দোকানীরা তালা দিতে নিষেধ করলেও তারা শোনেননি৷ এরপর থেকে এক সপ্তাহ যাবত দোকান খুলতে পারেননি তিনি।
গ্রাম্য চিকিৎসক পলাশ সরকার বলেন, এই বাজারে আমার বাবা মৃত রবীন্দ্রনাথ সরকার প্রায় ৪০ বছর আগে থেকে ওষুধের ব্যবসা শুরু করেছেন। সুনামের সাথে আমরা ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু আমি সংখ্যালঘু হওয়ায় একটি পক্ষ গত পাঁচ আগষ্টের পর থেকেই হুমকি ধামকি ও চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না দেওয়ার কারণে সেদিন দু গ্রুপের সংঘর্ষের সময় কোনো কারণ ছাড়া আমার দোকানে এসে তারা তালা লাগিয়েছেন। আমার পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকার ওষুধ নষ্ট হবার উপক্রম হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাশিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেন, কে বা কারা তার দোকানে তালা লাগিয়েছেন আমি কিছু জানিনা। আমাকে মিথ্যা দোষারোপ করা হচ্ছে। বরং সেদিনের ঘটনায় আমার উপরে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসার পর এখন কিছুটা সুস্থ।
এ বিষয়ে চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচন কেন্দ্র করে দু পক্ষের দ্বন্দ্ব হয়েছে সেখানে। কারো দোকানে তালা লাগিয়েছে কিনা বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *