
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউজ্জামান তপনের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো ও হয়রানির অভিযোগ করেছেন তার পরিববার।
শফিউজ্জামানের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী বহুদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক পদে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সেই সুবাদে এলাকায় আমিসহ বিএনপির ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে তার। এই জনপ্রিয়তায় ঈর্ষণীয় হয়ে আমার পরিবারকে ফাঁসাতে ও হয়রানী করতে স্বৈরাচারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক র্যাব কর্মকর্তা ও এএসপি আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুম-খুনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। গুম-খুনের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড আলেপ উদ্দিন।
প্রসঙ্গত, ৩১তম বিসিএসের কর্মকর্তা আলেপ ২০১৩ সালে পুলিশের চাকরি শুরু করেন। তার গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায়। আলেপ ২০১৪ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত র্যাবে কর্মরত ছিলেন। কাজ করতেন জঙ্গি সেলের ইনচার্জ হিসেবে। পুলিশ বিভাগে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘জল্লাদ’ নামে।
অভিযোগ আছে, জঙ্গি দমনের নামে অনেককে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করেছেন তিনি। তার ভাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলতাব হোসেনকে দিয়ে রেলের জায়গা দখল করিয়েছেন। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ভাইকে চেয়ারম্যান বানাতে চেয়েছিলেন। বিশেষ করে তিস্তা-কুড়িগ্রাম রেলপথ সংলগ্ন চায়না বাজার এলাকায় রেলওয়ের একটি বড় অংশ অবৈধভাবে দখল করেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ দিলেও এজাহার গ্রহণ করেনি পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ জুলাই ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকায় নিরিহ ছাত্রজনতাকে হত্যা ও লাশ গুম করা সহ সহায়তা ও হুকুম প্রদানের অপরাধে পলাতক শেখ হাসিনা সহ ১৬৮ জনের বিরূদ্ধে জনৈক মো. ফারুক হোসেন একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১১/২০২৫। সেই মামলায় শফিউজ্জামান তপনের নাম রয়েছে। সে এখন জেল হাজতে আছেন। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত থেকেও মিথ্যা হত্যা মামলায় জেল খাটতে হচ্ছে। জুলাই আগষ্টের আন্দোলনের ফ্যাসিস্ট সরকারের বিপক্ষে মাঠে সক্রিয় আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন শফিউজ্জামান তপন তারপরও জুলাই-আগস্টের হত্যা মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে পরিবারের দাবি।