
লিটন সরকার, রৌমারী(কুড়িগ্রাম): কুড়িগ্রামের রৌমারীতে গাছ কাটার অনুমতি না পাওয়ায় একটি রাস্তার পাকাকরণ কাজ বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী। উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের শিবেরডাঙ্গী গ্রামের বেড়িবাঁধ রাস্তার কাজ বন্ধ রয়েছে।
গাছগুলো কাটার অনুমতি চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেন কাজ পাওয়া ঠিকাদার ও এলাকাবাসি।
জানা গেছে, উপজেলার শিবেরডাঙ্গী গ্রামের বেরিবাঁধ রাস্তার পাকাকরণ কাজ চলছিল। শুধুমাত্র ১৫০ গজ পর্যন্ত বেড়িবাঁধের রোপণকৃত বিভিন্ন প্রজাতির ১১টি গাছ রয়েছে। গাছগুলো রাস্তার মাঝখানে থাকার কারণে রাস্তা পাকার কাজ করা যাচ্ছে না। গাছগুলো কাটার অনুমতি চেয়ে বন বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেন এলাকাবাসী। তদন্ত করলেও গাছগুলো কাটার অনুুমতি দিচ্ছেন না স্থানীয় প্রশাসন। তাই কাজ পাওয়া ঠিকাদার রাস্তার কাজ বন্ধ করে চলে যান।
এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত গাছগুলো কাটার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
স্থানীয় ইমরান হোসেন, শাহাদাত হোসেন সাগর, আলী হায়দার,শাজাহান আলীসহ অনেকেই জানান, কয়েক বছর আগে ইউনিয়ন ফেডারেশনের সদস্যরা গাছগুলো রাস্তার একপাশে রোপণ করেন। কিন্তু সরকারি জমি খাস হিসেবে অন্যপাশে রাস্তার মাপ যাওয়ায় গাছগুলো রাস্তার মাঝখানে পড়ে যায়। এ জন্য যানবাহনসহ পথচারীদের যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বলেন, এলজিইডির অর্থায়নে শিবেরডাঙ্গি গ্রামের রাস্তা পাকাকরণের কাজ চলছে। প্রায় দেড়শ গজ পর্যন্ত রাস্তার মাঝখানে ১১টি গাছ থাকায় পাকাকরণের কাজ বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত আবেদন করেন ঠিকাদার ও এলাকাবাসী।
বন কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, গাছগুলো কাটার একটি লিখিত আবেদন পেয়েছি। পরে সরেজমিন ঘটনাস্থল গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছি। কিন্তু গাছ কাটার অনুমতি এখন মেলেনি। তাই আপাতত কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী আনিসুল ইসলাম বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে বনবিভাগকে জানিয়েছি। প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।