
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: মাত্র ১৮ বছর বয়সেই সাহিত্যজগতে আলো ছড়াতে শুরু করেছেন সুনামগঞ্জের তরুণ প্রতিভাবান লেখক অভিনয় সরকার। দারিদ্র্যের মাঝেও সাহিত্যের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসায় নিজেকে গড়ে তুলেছেন এই সম্ভাবনাময় লেখক।
অভিনয় সরকারের জন্ম ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি, সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের হাজারীপুর নোয়াগাঁও গ্রামে। পিতা লনি সরকার পেশায় কৃষক এবং মাতা খেলন রানী সরকার গৃহিণী। জীবিকার তাগিদে বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে জামালগঞ্জ উপজেলায় বসবাস করছেন তিনি।
অভিনয় সরকার ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যচর্চায় নিমগ্ন। স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি গরু ছড়ানো, রাখালের কাজ করতেন। হাওরের হিজল গাছের ছায়ায় বসে লিখতেন ছড়া, কবিতা, গল্প। এখন পর্যন্ত তার তিনটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে— “হৃদয়ের কথা”, “কবিতার ডালি”, এবং তৃতীয় বই “মনের কথা” প্রিন্ট সংস্করণে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।
২০২৪ সালে দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন তিনি। লেখালেখির শুরুটা হয়েছিল “টাকা পয়সা” নামের একটি কবিতা দিয়ে, যা প্রকাশের পর ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে। এরপর আর থেমে থাকেননি। নিয়মিত লিখছেন কবিতা, উপন্যাস, ছোটগল্প, ছড়া এবং শিক্ষণীয় উক্তি।
তার উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে রয়েছে— “মা আমার মা”, “দিদিমার অভিনয়”, “সৎ মায়ের অত্যাচার”, “মাসি” ইত্যাদি। ইতোমধ্যে প্রায় একশ’টিরও বেশি কবিতা রচনা করেছেন।
অভিনয় সরকার বলেন, “ছোটবেলা থেকেই কবিতা-সাহিত্যের প্রতি এক অন্যরকম ভালোবাসা জন্মেছিল। লেখালেখির শুরু থেকে পাঠকদের যে ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণা পেয়েছি, তা আমাকে এগিয়ে যেতে সাহস যুগিয়েছে।”
তিনি স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত সাহিত্যিক ড. এবায়দুল কবির চৌধুরী এবং এমসি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শ্রী নিবাস দে-র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, তাদের উৎসাহ ও সহযোগিতা তার সাহিত্যচর্চায় বড় অবদান রেখেছে।
তরুণ এই লেখক ভবিষ্যতে দেশ-বিদেশের পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে নিতে চান এবং সকলের দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেছেন।