মাইদুল ইসলাম: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গায় নির্মিত হয়েছে পরিবেশবান্ধব ইউনিব্লকের গ্রামীণ সড়ক। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অর্থায়নে ৪৯ লাখ ৫৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ৭২০ মিটার দৈর্ঘ্যের গোডাউন বাজার থেকে নলডাঙ্গা রোড এলাকায় এই সড়কটি নির্মাণ করা হয়।
এদিকে ইটের বদলে ইউনিব্লক প্রযুক্তি দিয়ে গ্রামীণ জনপদে এমন সড়কটি একদিকে যেমন সবার নজর কাড়ছে, অন্যদিকে দীর্ঘদিন পর সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের কৃষি পণ্য পরিবহনে অনেক সুবিধা হয়েছে। এ ছাড়া গাড়িযোগে উৎপাদিত বিভিন্ন ফলফলাদি যথা সময়ে বাজার করতে পারায় আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবে কৃষকরা এমনটাই আশা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্রামীণ সড়কে জিওবি মেরামত প্রকল্পের আওতায় গোডাউন বাজার থেকে নলডাঙ্গা রোডে ইউনিব্লকের সড়ক তৈরির দরপত্র আহ্বান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। দরপত্রে কাজটি নির্মাণের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাফি-নিলয় ট্রেডার্স।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাস্তায় ইটের পরিবর্তে ইউনিব্লক দিয়ে তৈরি করা হয় নতুন প্রযুক্তির এ সড়ক। প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ ইউনিব্লক সড়কটিকে টেকসই করতে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত মানের মেটেরিয়াল। এর ফলে সড়কের স্থায়ীত্ব বাড়ার পাশাপাশি ইটের চাহিদাও কমে আসবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এদিকে ইটের বিকল্প হিসেবে ইউনিব্লক দিয়ে তৈরিকৃত নতুন প্রযুক্তির এমন সড়ক পেয়ে খুশি স্থানীয়রা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানান, এ কাজটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের ছিল। তবে সাহসের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে এলাকাবাসীসহ সকলের সহযোগিতা যেমন পেয়েছি, তেমনি নির্দিষ্ট সময়ে কাজটি সম্পন্ন করতে পেরেছি। সড়কটি দৃষ্টিনন্দন হওয়ায় এলাকাসীকে উচ্ছ্বাসিত দেখে আমার নিজেরও ভালো লাগছে বলে জানান এ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। জানা যায়, এ ইউনিব্লক নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে সিমেন্ট, বালু আর উন্নতমানের পাথর।
এক একটি ইউনিব্লক চাপ এবং ধারণ ক্ষমতা ইটের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। এদিকে পরিবেশবান্ধব ও নান্দনিক হওয়ায় বদলে গেছে এই সড়ক সংলগ্ন এলাকার পরিবেশ। গ্রামীণ জনপদে ‘বি’ ক্যাটাগরির পরিবেশবান্ধব এই সড়ক নির্মাণে খরচ একটু বেশি হলেও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ অনেক কম এবং সড়কের স্থায়িত্বও অনেক বেশি। ফলে এ সড়ক যানবাহনের অধিক ভার নিতে পারবে।এ সড়কটি বৃষ্টি কিংবা বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হলেও সহজে নষ্ট হবে না বলে মন্তব্য করেন সচেতন মহল।