নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে সাভার সেনানিবাসে সিএমপি সেন্টার এন্ড স্কুলে বৃহস্পতিবার সদর দপ্তর ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড, ১৫ ই বেংগল (মেকানাইজড), ৪০ ই বেংগল (মেকানাইজড), ৯ বীর (মেকানাইজড) এবং ১১ বীর (মেকানাইজড)’র পতাকা উত্তোলন প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও টেলি কনফারে›স (ভিটিসি)’র মাধ্যমে সংযুক্ত থেকে প্যারেডে প্রধান অতিথি ছিলেন।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সদর দপ্তর ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেডের পতাকা উত্তোলন করেন।
এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলম, মাস্টার জেনারেল অব অর্ডিন্যান্স মেজর জেনারেল মো. আবু সাঈদ সিদ্দিক, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার সাভার এরিয়া মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক, এবং জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার বগুড়া এরিয়া মেজর জেনারেল মো. খালেদ-আল-মামুনসহ অন্যান্য ইউনিটসমূহের পতাকা উত্তোলন করেন। পতাকা উত্তোলন প্যারেড শেষে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া এ সেনাবাহিনীকে একটি প্রশিক্ষিত, সুশৃংখল এবং আধুনিক সাজসজ্জায় সজ্জিত বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
একই সঙ্গে তিনি এই দিনটিকে একটি অত্যন্ত আনন্দের দিন, পরিপূর্ণতা অর্জন এবং একটি মাইলফলক পেরোনোর দিন হিসেবে অভিহিত করেন। নবগঠিত ব্রিগেড সদর দপ্তর ও ইউনিটসমূহের উত্তোরোত্তর সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন।
পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান তাঁর বক্তব্যে সেনাবাহিনীর নতুন ব্রিগেড ও ইউনিটসমূহের সকল সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স¥রণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং শ্রদ্ধা জানান অগণিত বীর শহিদ ও সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে কাঙ্খিত স্বাধীনতা।
১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম বাংলাদেশের প্িরতরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। সেই উন্নয়নের পথ ধরে আজকের এই পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠিত হলো এবং একই সঙ্গে বাস্তবায়িত হলো সামরিক বাহিনীর উন্নয়নের রূপকল্প “ফোর্সেস গোল – ২০৩০’ এর আরেকটি ধাপ।
সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি ও আধুনিকায়নের মহতী উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) আর্টডক মেজর জেনারেল এস এম কামরুল হাসানসহ ঊধর্¡তন সেনাকর্মকর্তাগণ, বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন পদবীর সেনাসদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
এরপর সেনাবাহিনী প্রধান সাভার সেনানিবাসের সিএমপি সেন্টার এন্ড স্কুলে অনুষ্ঠিত সিএমপি বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন-২০২২ এ প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন এবং উক্ত কোরের অধিনায়কগণের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।