আবুল হাশেম, রাজশাহী: প্রায় ২০ বছর ধরে ছোট্ট একটি ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা সামছুল হক। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ঘর বরাদ্দে অনিয়মের কারণে তার কপালে জোটেনি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর। তাই বাধ্য হয়ে কনকনে শীত আর বৃষ্টির পানি উপেক্ষা করে বসবাস করছেন ঘরটিতে।
ভুক্তভোগী সামছুল হক বলেন, সবার ভাগ্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর মিললেও আমার ভাগ্য তা জোটেনি। বৃষ্টির সময় আসলে ঘরের ভিতরে পানি ঢুকে যায়। তখন পানি সেচে ফেলতে হয়। ঝড়ের সময় ঘরের চালা উড়ে নিয়ে যায়। কষ্ট যেন আমার পিছু ছাড়ছে না। ৫ বছর আগে স্টক করি আমি এখন ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারি না। অন্যর উপর নির্ভর করতে হয়। বর্তমান সরকার যদি আমাকে একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিতো তাহলে কোনোভাবে বসবাসটা করতে পারতাম।
স্থানীয় আব্দুর রহিম নামে এক ব্যক্তি বলেন, সামছুলের নিজস্ব কোনো জমি নেই। অন্যর দান করা জমিতে ছোট্ট একটি ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এভাবেই বসবাস করছেন। কনকনে শীতে জবুথবু আর বর্ষার সময় ঝড়-বৃষ্টির সাথে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হয় তাকে। সংসার জীবনে তিনি একা। নাপিতের কাজ করে কোনরকম জীবন-যাপন করতেন। তবে ৫ বছর আগে স্টক করে অচল হয়ে পড়ে আছেন তিনি। ওষুধ কিনা তো দূরের কথা দু’বেলা খাবারও জোটে না ঠিকভাবে।
স্থানীয়রা জানান, তার পরিবারে কোন লোকজন না থাকায় প্রতিদিন খাবারের জন্য হাত পাততে হয় অন্যের কাছে। যদি কেউ খাবার দেয় তাহলে খান আর না দিলে না খেয়ে দিন পার করেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে আরো জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে ঘর বিতরণে হয়েছে অনিয়ম। আর এ কারণে সরকারি ঘর পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন অসহায় সামছুল হক। তার জন্য শত চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তারা সহায় সম্বলহীন এই বৃদ্ধের জন্য সরকারি একটি ঘর প্রদানে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর।