বৃহস্পতিবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অটোরিকশার পর্দা ছিড়ে ফেলে ট্রাফিক পুলিশ বলল, ‘পিটাইয়া গাড়ি ভাঙা উচিত’

রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহীতে অটোরিকশাচালকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন মো. আরেফিন নামে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য। অটোরিকশার পেছনের অংশের পর্দা কাপড় টেনে ছিড়ে ফেলেন তিনি।

এসময় সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাধাও দেওয়া হয়।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর রেলগেটে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় ট্রাফিক বক্সে বসে থেকে সার্জেন্ট মো. শান্ত ক্ষীপ্ত হয়ে বলেন, ‘পিটাইয়া গাড়ি ভাঙা উচিত।’

ভুক্তভোগী অটোরিকশাচালকের নাম মো. শফিকুল। নগরীর বিমান চত্বর এলাকায় তার বাসা।

তিনি বলেন, ‘আমি গাড়ি নিয়ে চলে যাচ্ছিলাম। এ সময় আমাকে ট্রাফিক সদস্য থামতে বলেন। আমি থামার জন্য রেললাইনের ওপর থেকে গাড়িটি সাইড করার চেষ্টা গড়ি। এ সময় তিনি আমার গাড়ির পেছনের অংশ টেনে ছিড়ে ফেলেন। এ ক্ষতিটা না করলেও তিনি পারতেন।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অটোরিকশা চালকের সাথে ট্রাফিক পুলিশের কাজটি মোটেও ঠিক হয়নি। তিনি নেমে ক্ষতির কথা বলছিলেন, এ সময় তার ওপর আরও ক্ষিপ্ত হন ট্রাফিক সদস্য। অটোরিকশার চাবি নিয়ে সার্জেন্টের কাছে কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন আরেফিন।

এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক সাংবাদিক তার নিজের পরিচয় দিয়ে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য আরেফিনের কাছে ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে চান। আরেফিন কথা বলা শুরু করতেই পাশে থাকা আরেক ট্রাফিক সদস্য আনোয়ার ওই সাংবাদিকের দিকে তেড়ে আসেন এবং পেশাগত কাজে বাধা দেন। ট্রাফিক বক্সে অবস্থানরত সার্জেন্ট শান্তর কাছে তাকে যেতে বলেন।

ওই সাংবাদিক সার্জেন্ট শান্তর কাছে গেলে তিনি তার পরিচয়পত্র দেখতে চান। সাংবাদিক পরিচয়পত্র দেখালে সেটির ছবি নেওয়ার চেষ্টা করেন সার্জেন্ট শান্ত। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন।

সার্জেন্ট শান্ত বলেন, ‘কী নিউজ হবে কোনটা পাবলিশ করার মতো, এখন তো হলো ভাই, ছোট একটা শব্দ হলেও আপনারা বলেন, বোমাবাজি হইসে। আপনাদের সাংবাদিকতা এখন এটা।’

এ সময় সার্জেন্ট শান্ত আরও বলেন, ‘আমরা সারাদিন ডিউটিরত। আমাদের পাবেন না এরকম কোনো টাইম নাই। রিকশা আর অটোর কারণে ডিউটিগুলো বেশি করা লাগে। এদের সারাদিন ধরে বোঝাবেন যে রাস্তা ফাঁকা রাখেন; ওখানেই দাঁড়াবে, মাস্ট দাঁড়াবে। এদের পিটাইয়া ভাঙা উচিত। এত ভালে করে বলা হয়, কেউ শোনে কেউ শোনে না। কাজ করতে করতে হয়ে যায় ইনসিডেন্ট। হাত লাইগ্যা ছিড়্যা যাইতেই পারে।’

এ বিষয়ে আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার নুর আলম সিদ্দিকীর সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভি করেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ