মঙ্গলবার, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অবৈধ প্লাস্টিক কারখানা, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানুষ

পাভেল ইসলাম মিমুল, উত্তরবঙ্গ: রাজশাহীর পবা উপজেলার ৫ নং হড়গ্রাম ইউনিয়নের বড়বাড়িয়া এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে প্লাস্টিক ও পলিথিন রিসাইক্লিন কারখানা। এতে স্থানীয় কয়েক হাজার মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ভুগলেও যেনো দেখার কেউ নেই।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,পবা উপজেলার ৫ নং হড়গ্রাম ইউনিয়নের বড়বাড়িয়া এলাকায় অবস্থিত সাইন বোর্ড বিহীন মেসার্স ইমন প্লাস্টিক নামে একটি অবৈধ প্লাস্টিক ফ্যাক্টরিতে পলিথিন ও বিভিন্ন প্লাস্টিক রিসাইক্লিনের মাধ্যমে পুনর্ব্যবহারের উপযোগী পণ্য তৈরি করা হচ্ছে। রিসাইক্লিনের জন্য রোদে শুকাতে মেলা হচ্ছে প্লাস্টিকগুলো। ওই প্লাস্টিকগুলো বেশ কিছু শ্রমিক মুখে মাস্ক ব্যবহার না করেই ময়লা আবর্জনা থেকে বাছাই করছেন। এতে করে স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে রয়েছে শ্রমিকেরা।
এছাড়াও শ্রমিকরা কোনরকম সেফটিগার্ড ছাড়াই হাইড্রোলিক মেশিনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরী করছেন।এমনকি কারখানায় অগ্নিনির্বাপণেরও কোনো ব্যবস্থা নেই।
এলাকাবাসিরা জানান,সামান্য বাতাস হলেই এসব পলিথিন ও প্লাস্টিকের টুকরোগুলো আমাদের বসতবাড়িতে উড়ে আসে এবং কারখানার বিষাক্ত বায়ুর কারনে পরিবেশও দূষিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা আরো জানান,প্লাস্টিকের বিষাক্ত বর্জ্য রাস্তায় ফেলায় এই সড়কে যাতায়াত করা হাজার সাধারণ মানুষ সহ আমাদেরকে রোগ-জীবাণু আক্রমণ করছে।
এছাড়া এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। আমরা অতিদ্রুত দুর্গন্ধ,বিষাক্ত বর্জ্যের অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই।
পবা উপজেলার ৫ নং হড়গ্রাম ইউনিয়নে মো: শরিফ আলী নামে এক ব্যবসায়ী মেসার্স ইমন প্লাস্টিক নামে গড়ে তুলেছেন এই ফ্যাক্টরি।
এ বিষয়ে ফ্যাক্টরির মালিক শরিফ আলী বলেন, আমি ঢাকায় আছি ফ্যাক্টরি পরিচালনা করার জন্য সব সার্টিফিকেট আছে ।
তবে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার তিনি স্বীকার করেন যে, তার কাছে নেই পরিবেশ অধিদপ্তর,উৎপাদন বিপণন এর সনদপত্র। তবে ফায়ার সার্ভিসের আছে কিন্তু হালনাগাদ করা নাই। শুধু টিন সার্টিফিকেট দিয়েই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছেন।
পরিবেশের অনুমতি ছাড়া সরকারি আইন অমান্য করে কিভাবে ফ্যাক্টরি পরিচালনা করছেন এক প্রশ্নের উত্তরে ম্যানেজার জানান,পরিবেশ অফিস আমাদের ম্যানেজ করা আছে তাই কোন সমস্যা হয়না।
কারখানায় সরেজমিন গেলে নামধারী একজন সাংবাদিক প্রতিবেদক’কে মুঠোফোনে জানান, আপনারা ওই কারখানায় কেনো গেছেন ওই কারখানা আমার ভাইয়ের এমন কিছু করবেন না যেনো মানসন্মান নষ্ট হয়।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোছাঃ তাছমিনা খাতুন  তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া প্লাস্টিক ও পলিথিন রিসাইক্লিং কারখানা পরিচালনা করা দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে আমরা সরেজমিনে গিয়ে ফ্যাক্টরির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ